Chandrakona News: মাটিভর্তি ট্রাক চাপা পড়ে মৃত ১, চন্দ্রকোনায় চরমে উঠল অশান্তি
Chandrakona News: দীর্ঘ দিন ধরে পুকুর খননে বাধা দিয়ে আসছিলেন স্থানীয়রা। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় লিখিত আর্জিও জানানো হয়, যাতে পুকুর খনন বন্ধ হয়।
সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: মাটি বোঝাই ট্রাক উল্টে বিপত্তি। তার নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। আর তাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল চন্দ্রকোনায়। একাধিক ট্র্যাক্টর এবং মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিলেন উত্তেজিত জনতা। পুলিশ এবং দমকলবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur News) জেলার চন্দ্রকোনা (Chandrakona News) ১ নম্বর ব্লকের মানিককুণ্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলাদণ্ড গ্রামে এমনই ঘটনা ঘটেছে। গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকেই বেলাদণ্ড গ্রামের বাসিন্দা অরূপ ঘোষ,নিমাই ঘোষ গ্রাম লাগোয়া জামিরা মৌজায় লোকালয়ের মধ্যেই কৃষিজমিতে (Agricultural Land) মাটি খুঁড়ে পুকুর (Pond) খননের কাজ করছিলেন।
আর সেই পুকুর খননের মাটি রাতের বেলায় ট্রাক্টরে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গ্রামেরই অন্য প্রান্তে। মাটি ভর্তি সেই ট্রাকই মাঝপথে রাস্তার উপর উল্টে যায়। তার নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় সুকুমার রায় নামের ৩৯ বছর বয়সি গ্রামেরই এক বাসিন্দার।
এই ঘটনাকে ঘিরেই চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। গ্রামের মানুষের অভিযোগ ট্র্যাক্টর চালকরা ওই ব্যক্তির চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
আরও পড়ুন: North 24 Parganas: শুরু পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচী, হাবরায় মনোরম পরিবেশে ক্লাস করল ছাত্ররা
গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকায় পুকুর খনন করার অনুমতি নেই। দীর্ঘ দিন ধরে পুকুর খননে বাধা দিয়ে আসছিলেন তাঁরা। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় লিখিত আর্জিও জানানো হয়, যাতে পুকুর খনন বন্ধ হয়। পুকুর করলে এলাকার মানুষের বসতবাড়িগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে বোঝানোর চেষ্টা হয়।
কিন্তু কিছপতেই কাজ হয়নি। এ বৃহস্পতিবার রাতে সুকুমার রায়ের মৃত্যুর পর তাই পরিস্থিতি তেতে ওঠে। উত্তেজিত মানুষ চারটি ট্র্যাক্টর, একটি জেসিবি মেশিন এবং একটি মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাতে সম্পূর্ণ পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় গাড়িগুলি। শুক্রবার সকাল থেকে এই ঘটনায় থমথমে এলাকা। এলাকার মানুষজনদের দাবি, দ্রুত এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিক। মৃত ব্যক্তির পরিবারের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করুক।