Datan : বিজেপি ভোট চাইতে এলে ঝাঁটা মেরে তাড়ানোর 'পরামর্শ' তৃণমূল প্রধানের
Panchayat Vote : পঞ্চায়েত ভোটের দিন এখনও ঘোষণা হয়নি। এখন থেকেই প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল
অমিত জানা, দাঁতন : পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) দাঁতনে (Datan) তৃণমূল প্রধানের হুঁশিয়ারি। বিজেপি ভোট চাইতে এলে ঝাঁটা মেরে তাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। যদিও বিজেপি পাল্টা মন্তব্য করেছে, ভোটের ফলেই স্পষ্ট হবে মানুষ কাদের তাড়াবে। কেন্দ্র টাকা আটকে রাখায় ক্ষোভ, প্রধানের মন্তব্য নিয়ে সাফাই দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক।
পঞ্চায়েত ভোটের দিন এখনও ঘোষণা হয়নি। এখন থেকেই প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে শুরু হয়েছে ‘চলো গ্রামে যাই’ কর্মসূচি। বুধবার দাঁতন ১ নম্বর ব্লকের উত্তর রায়বাড় গ্রামে প্রচারে নামেন তৃণমূল বিধায়ক। ভোট প্রচারে নামেন তৃণমূলের মহিলা প্রধানও। ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে বিজেপিকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করার পরামর্শ দেন তিনি। দাঁতনের ৪ নম্বর শালিকোঠা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও তৃণমূল নেত্রী সঞ্জিদা বিবির বক্তব্য, বিজেপি ভোট চাইলে তাকে ঝাঁটা দিয়ে খেদিয়ে দেবেন।
তৃণমূলের মহিলা প্রধানের সাফাই-
এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই সাফাই দিয়েছেন তৃণমূলের মহিলা প্রধান। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি ১০০ দিনের টাকা আটকে রেখেছে। পঞ্চায়েতে গরিবদের খাটিয়েছি। কেন্দ্র টাকা না দিলে ঝাঁটা দিয়ে তাড়াবে না তো কী করবে।
যদিও এনিয়ে সুর চড়াতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, তৃণমূলের জনসংযোগ নেই। পঞ্চায়েত ভোটের আগে লোকের দুয়ারে যেতে হচ্ছে। মানুষ আর তৃণমূলকে ফেরাবে না। বাংলার মানুষ কাকে তাড়ায় দেখুন।
এদিকে দাঁতনের তৃণমূল বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান বলছেন, কে কী বলছে আমার জানা নেই। আমরা সমাজকর্মী। মানুষের সঙ্গে থাকি। অশালীন কথা বলব কেন। বিজেপি জাতীয় সম্পদ ধ্বংস করছে। মানুষই তাদের প্রশ্ন করবে।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসক-বিরোধী দু’ তরফেই হুমকি-হুঁশিয়ারি চলছে। আর গতবারের ভোটের কথা মনে করে 'সিঁদুরে মেঘ' দেখছে সাধারণ মানুষ।
প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই খবরে উঠে আসে দাঁতন। দাঁতনে আটক করা হয় গরু বোঝাই ৮টি ট্রাক। গরুগুলিকে ফেরত পাঠানো হয় ওড়িশায়। ১ জন ট্রাক চালককে গ্রেফতার করে জলেশ্বর থানার পুলিশ। আটক ৩, কয়েকজন চালক পলাতক।
পুলিশ সূত্রে খবর, মেদিনীপুরের সনাকোনিয়া সীমানায় নাকা চেকিং চলছিল। সেইসময় ওড়িশা থেকে আসা ৮টি ট্রাক আটক করা হয়। ট্রাকে প্রায় ৬০০-৭০০ গরু ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এক ট্রাক চালকের দাবি, ভদ্রক থেকে গরুগুলিকে বেলদায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ওড়িশার জলেশ্বর থানার পুলিশ গরু বোঝাই ট্রাকগুলিকে নিয়ে যায়। গরুপাচারের নেপথ্যে বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন দাঁতনের তৃণমূল বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান।
আরও পড়ুন ; সাপ ধরার নেশাই কাল হল! গোখরোর ছোবলে মৃত্যু ‘পরিবেশবন্ধু’র