Bidyut Chakrabarty: 'আপাতত গ্রেফতারির মতো কড়া পদক্ষেপ নয়', আদালতে 'সাময়িক স্বস্তি' বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্যের
Shantiniketan PS : শান্তিনিকেতন থানায় হাজিরা দেওয়ার জন্য ৩ সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য
শান্তিনিকেতন : আদালতে 'সাময়িক স্বস্তি' বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। আপাতত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারির মতো কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) থানার জারি করা নোটিসের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। পাশাপাশি তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ১৪ নভেম্বরের পরিবর্তে ২০ এবং ২২ নভেম্বর বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে তাঁর বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে পুলিশ। ২০ নভেম্বর ৩ টি মামলা এবং ২২ নভেম্বর ২টি মামলায় বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে পুলিশ। প্রতিটি মামলায় এক ঘণ্টা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে। এছাড়া আগামীকালের মধ্যে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে FIR এর কপি দেবে শান্তিনিকেতন থানা, এমনই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিশের কাছে হাজিরা দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী । শান্তিনিকেতন থানায় হাজিরা দেওয়ার জন্য ৩ সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য। কিন্তু সময় না দিয়ে এদিন ফের বাড়িতে নোটিস দিতে আসে পুলিশ। যদিও উপাচার্য বাড়িতে না থাকায় নোটিস দিতে পারেনি পুলিশ। গেট খোলেননি নিরাপত্তারক্ষীরা, তাই নোটিস না দিয়েই ফিরে যায় পুলিশ।
গতকাল বিশ্বভারতীর ফলক-বিতর্ক-সহ ৬টি মামলায় তলব করা হয় বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে। প্রাক্তন উপাচার্যকে নোটিস পাঠায় শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। আজই সকাল ১০টায় থানায় হাজিরা দিতে বলা হয় বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্যকে। এনিয়ে অবশ্য বিচারপতি প্রশ্ন করেন, 'মাত্র ১ দিনের নোটিসে ৫ টি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের নোটিস কীভাবে ।' নতুন করে নোটিস জারি করে তবেই জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে। অর্থাৎ, আদালতে 'সাময়িক স্বস্তি' পান বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য। আদালতে তিনি অভিযোগ জানান, আমি প্রশাসনিক ভাবে সব কিছু সঠিক করার চেষ্টা করছিলাম। তাই শেষ ৫ বছর ধরে আমাকে হেনস্তা করা হয়েছে।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য থাকাকালীন নানা সময় নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সংঘাতে গিয়েছেন। যে তালিকায় শেষ সংযোজন ফলক বিতর্ক। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় দায়ের হয়েছে একাধিক অভিযোগ। ফলক বিতর্কে মামলা করে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। তাঁদের অভিযোগ, কোনও অনুমতি না নিয়ে বিভিন্ন জায়গহায় ফলক বসানো হয়েছে। এই সব অভিযোগের মধ্যেই গত ৮ তারিখ ছিল উপাচার্য হিসেবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কর্মজীবনের শেষ।
আরও পড়ুন ; যতই গলা ফাটান রাবীন্দ্রিকরা, মোদিই আচার্য, ফলক বিতর্কে পাল্টা আক্রমণে বিশ্বভারতী