Smoke Cannister Incident: ললিতের বং-কানেকশনে চিহ্নিত আরও ১
Smoke Cannister Incident: শুধু নীলাক্ষ আইচ নয়, ধৃত ললিত ঝা-র সঙ্গে আরও একজনের যোগসূত্র পেল পুলিশ..
কলকাতা: ললিতের (Lalit Jha) বং-কানেকশনে চিহ্নিত আরও এক। শুধু নীলাক্ষ আইচ নয়, ধৃত ললিত ঝা-র সঙ্গে আরও একজনের যোগসূত্র পেল পুলিশ (Smoke Cannister Incident)। সায়ন পাল নামে এই ব্যক্তিও সাম্যবাদী সুভাষ সভা নামে সংগঠনের সদস্য।
গত ২৩ জুলাই কলকাতায় পদযাত্রার আয়োজন করে সাম্যবাদী সুভাষ সভা। পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন ললিত ঝা, নাম ছিল সায়ন পালেরও। ললিতের রবীন্দ্র সরণির ভাড়াবাড়ির ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল আবেদনপত্রে, খবর সূত্রের। ললিত ঝা'র সঙ্গে কোনও ব্যক্তিগত যোগযোগ ছিল না, দাবি সায়নের। ললিত ঝা-এর এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ সমর্থন যোগ্য নয়, মন্তব্য সায়ন পালের। সাম্যবাদী সুভাষ সভা নামে ওই সংগঠন নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে লালবাজার। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে।
সংসদে তাণ্ডব কাণ্ডে ধৃত ললিত ঝা-কে জেরায় উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। হয় 'প্ল্যান এ' নয় 'প্ল্যান বি', রীতিমতো প্রস্তুতি নিয়ে সংসদে তাণ্ডবে নেমেছিলেন স্মোক-কাণ্ডের হামলাকারীরা ! সংসদে অশান্তির ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা-কে জেরায় এমনই বিস্ফোরক তথ্য মিলেছে বলে দাবি করল পুলিশ।তদন্তকারীদের দাবি, তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে সহযোগীদের মোবাইল ফোন পুড়িয়ে দিয়েছিলেন ধৃত মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা ! ২০০১ সালের সংসদ হামলার ২২ বছর পূর্তির দিনেই বুধবার, ফের আতঙ্কের সাক্ষী থেকেছে দেশের আইনসভা। লোকসভার ভিতরে দর্শক হিসেবে ঢুকে নিরস্র হলেও, কালার স্মোক স্প্রে করে হুলস্থুল বাধিয়ে দেয় দুই যুবক। বাইরে আরও এক যুবক ও এক তরুণী। মুখে ছিল - 'ভারত মাতা কী জয়' স্লোগান।
পুলিশ যখন তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে, তখন সংসদে অশান্তির ঘটনায় মূল চক্রী নিজেই এসে থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ললিত ঝাকে জেরায় জানা গেছে, সাংসদের সই করা পাস থাকায় লোকসভার ভিতরে তাণ্ডবের দায়িত্ব দেওয়া হয় সাগর শর্মা ও মনোরঞ্জন ডি-কে। অমল শিন্ডে ও নীলম দেবীর দায়িত্ব ছিল সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখানোর। তাঁরা ব্যর্থ হলে ময়দানে নামতেন কৈলাস, মহেশ।
আরও পড়ুন, পুলিশের চোখে ধুলো দিতে সিগন্যাল অ্যাপে চ্যাট ! সংসদকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং করার পর সেখান থেকেই পালিয়েছিল সংসদ হানায় অন্যতম অভিযুক্ত ললিত ঝা। দিল্লি থেকে বাসে করে পৌঁছে যায় রাজস্থানের নাগৌরে। সেখানে ২ বন্ধুর সঙ্গে দেখা করেন ললিত। রাতে সেখানকারই একটি হোটেলে ছিলেন। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশ তাঁকে খুঁজছে বুঝতে পেরে এরপর বাসে করে নিজেই ফিরে আসে দিল্লিতে। পুলিশ সূত্রে দাবি, তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে সহযোগী মনোরঞ্জন ডি, সাগর শর্মা, অমল শিন্ডে ও নীলম দেবী,এই চারজনেরই ফোন রাজস্থানে পুড়িয়ে দেয় ললিত।