Purba Bardhaman: জেলা সভাপতিকে 'হরিদাস পাল' বলে কটাক্ষ, পুরভোটের পর দুই তৃণমূল নেতার সংঘাত
বিধানসভা ভোটের পর প্রকাশ্যে জেলা সভাপতিকে হরিদাস পাল বলে কটাক্ষ করেছিলেন জেলা সম্পাদক। এরপর পুরভোটে হেরে ফেসবুকে জেলা সভাপতিকে ফের একইরকমভাবে কটাক্ষ করেন তিনি।
রানা দাস, কাটোয়া: পুরভোটের (Municipal Election) পর ফের কাটোয়ায় (Katwa) দুই তৃণমূল নেতার সংঘাত। সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে জেলা সভাপতিকে হরিদাস পাল বলে কটাক্ষ করার অভিযোগ উঠল জেলা সম্পাদক অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। কাটোয়া থানায় (Katwa Police Station) অভিযোগও দায়ের করেছেন তৃণমূল (TMC) জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।
বিধানসভা ভোটের পর প্রকাশ্যে জেলা সভাপতিকে হরিদাস পাল বলে কটাক্ষ করেছিলেন জেলা সম্পাদক। এরপর পুরভোটে হেরে ফেসবুকে জেলা সভাপতিকে ফের একইরকমভাবে কটাক্ষ করেন তিনি। জেলা সভাপতির দাবি, এভাবে বারবার তাঁকে হেয় করছেন দলীয় নেতা। যদিও সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল জেলা সম্পাদক।
পাশাপাশি এদিনই তৃণমূল (TMC) নেতার একটি অডিও ক্লিপ নিয়ে শোরগোল পড়েছে। তৃণমূল না করলে জব কার্ড বা বাংলা আবাস যোজনায় বাড়ি পাওয়া যাবে না। মালদার চাঁচলে তৃণমূল নেতার অডিও ক্লিপ ভাইরাল (Viral Audio Clip) হতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও ভাইরাল অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ দাস চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যার স্বামী। বিজেপি কর্মী মনোজ সাহার অভিযোগ, তৃণমূল নেতাকে ফোন করায় তিনি শাসকদলে যোগ না দিলে জব কার্ড ও বাংলা আবাস যোজনায় বাড়ি পাওয়া যাবে না বলে জানান। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা। এ রাজ্যে রাজনীতির রং দেখেই পরিষেবা মেলে, কটাক্ষ বিজেপির। অস্বস্তি ঢাকতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
অন্যদিকে হলদিয়া এক্সাইডকাণ্ডের জেরে তমলুক সাংগঠনিক জেলায় INTTUC-র নতুন জেলা কমিটি গঠন করা হল। বিশৃঙ্খলা রুখতে রাজ্যের সমস্ত শিল্পাঞ্চলে কারখানার গেটে টোল-ফ্রি নম্বরের বোর্ড লাগিয়ে প্রচারের নির্দেশ রাজ্য নেতৃত্বের।
এর আগে হলদিয়ার এক্সাইড কারখানায় অশান্তিতে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগে গ্রেফতার হন তমলুক সাংগঠনিক জেলার তত্কালীন আইএনটিটিইউসি সভাপতি তাপস মাইতি ও হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের বিশেষ পর্যবেক্ষক সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তার তিনমাসের মাথায় গতকাল ২৫ জনের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন জেলা কমিটির শীর্ষে সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। দুর্নীতি রুখতে প্রশাসন তত্পর বলে দাবি করেছেন রাজ্য INTTUC-র সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। গেরুয়া শিবিরের কটাক্ষ, গোটাটাই আইওয়াশ।
আরও পড়ুন: Kolkata Book Fair: চুরির অভিযোগে কলকাতা বইমেলা থেকে ধৃত অভিনেত্রী, তদন্তে পুলিশ