Purba Bardhaman: তৃণমূল বিধায়কের নাম করে তোলাবাজির অভিযোগ, বেধড়ক মারধর, শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর
Purba Bardhaman News: বর্ধমান শহরের নীলপুর এলাকায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা। যদিও, হোটেল মালিকের দেওয়া এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। ঘটনার সূত্রপাত দুর্গাপুজোর আগে।
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়কের (TMC MLA) নাম করে রেস্তোরাঁয় (restaurants) তোলাবাজির অভিযোগ। রেস্তোঁরা মালিকের দাবি, টাকা দিয়েও মেলেনি রেহাই, বেধড়ক মারধর করা হয় ভাইপোকে। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল বিধায়ক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর (Political Tussle)।
বিধায়কের নামে ‘তোলাবাজি’!
রেস্তোরাঁ মালিকের দেওয়া ভিডিও শিউরে ওঠার মতো ছবি। কখনও মাটিতে ফেলে মার, কখনও টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হল কিছুদূর। উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে, ফের মারধর। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়কের নাম করে রেস্তোরাঁয় তোলাবাজির অভিযোগ উঠল। রেস্তোঁরা মালিকের দাবি, টাকা দিয়েও মেলেনি রেহাই, বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁর ভাইপোকে। থানায় অভিযোগ করলে তৃণমূল বিধায়কের নাম করে দুষ্কৃতীরা হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ।
বর্ধমান শহরের নীলপুর এলাকায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা। যদিও, হোটেল মালিকের দেওয়া এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। ঘটনার সূত্রপাত দুর্গাপুজোর আগে।
মালিকের দাবি, রেস্তোরাঁ চালুর আগেই কয়েকজন দুষ্কৃতী সেখানে ঢুকে মদ্যপান করে। তিনি ও স্থানীয় ক্লাবের কয়েকজন সদস্য তাদের বাধা দিলে সেদিন সেখান থেকে চলে গেলেও, পুজোর সময় রেস্তোরাঁ চালু হতেই সমস্যা বাড়তে থাকে। অভিযোগ, বিধায়কের নাম করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে দুষ্কৃতীরা। এরপর, অষ্টমীর দিন রেস্তোরাঁ মালিকের ছেলেকে ভয় দেখিয়ে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু, এতেও মেটেনি ঝামেলা। দ্বাদশীর দিন, দলবল নিয়ে এসে মালিকের ভাইপোকে মারধর করে তারা। বর্ধমান থানায় অভিযোগ করলে, বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাসের নাম করে হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা।
যদিও তাঁর নাম করে তোলাবাজি ও মারধরের ঘটনায় বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস জানিয়েছেন, তাঁর নাম ব্যবহার করে এই ধরনের ঘটনা ঘটানোয় পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
তৃণমূল বিধায়কের নাম করে ‘তোলাবাজি’। ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বর্ধমান জেলা কমিটির বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, 'দলটার নাম তোলামূল। তোলা এবং কাটমানি খাওয়া যেদিন বন্ধ হয়ে যাবে সেদিন দলটার কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসাদার কারও নিরাপত্তা নেই। বিজেপি দাবি ঘটনা ঘটার পর এখনও কেন গ্রেফতার হল না দুষ্কৃতীরা।'
আরও পড়ুন: Entally Firing: রাতের কলকাতায় চলল গুলি, জখম মূক ও বধির বৃদ্ধ, নেপথ্যে সিন্ডিকেট বিবাদ!
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, 'কে কার নাম করল এটা বিষয় নয়, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, 'কেউ গণ্ডগোল করলে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।'
মারধরের ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। ভয়ে ৩ দিন দোকান বন্ধ রাখার পর মঙ্গলবার ফের খোলা হয় রেস্তোঁরা।