Tamluk Municipality : 'যদি আমার মৃত্যু হয়, তার জন্য দায়ী মমতা-অভিষেক', বিস্ফোরক তমলুকের সাসপেন্ডেড তৃণমূল কাউন্সিলর
TMC News: এমনকী দলীয়ভাবে কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে।

বিটন চক্রবর্তী, তমলুক : বিদ্রোহের পরেই তমলুকে তৃণমূল কাউন্সিলর সাসপেন্ড। নতুন পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণার পর পার্থসারথি মাইতিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এমনকী দলীয়ভাবে কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। এই পরিস্থিতিতে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তমলুকের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সাসপেন্ডেড তৃণমূল কাউন্সিলর। তাঁর বক্তব্য, "যদি আমার মৃত্যু হয়, তার জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আর পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি।"
পার্থসারথি মাইতি বলেন, "আমার যে নিরাপত্তা দিয়েছিল...'২০ সালে যখন শুভেন্দু নানা জায়গায় গন্ডগোল করেছিলেন...শুভেন্দু অধিকারী...তখন ২০২০ সালে আমাকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। বহিষ্কারের তিন মিনিটের মধ্যে আমার যে সিকিউরিটি তিনি বললেন, দাদা, আমাকে ক্লোজ করে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার অভাব বোধ করে দু'বার চিঠি করেছিলাম। একবার একমাস আগে যখন সুজিত রায় আমাকে ফোনে হুমকি দিয়েছিলেন, এসপি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি। নিরাপত্তা বাড়াননি। তার পরবর্তী সময়ে আবার আমি করেছিলাম...নতুন জেলাশাসককে। তাও কোনও উত্তর পাইনি। বারবার খুনের হুমকি দেওয়া হয়। যদি আমার মৃত্যু হয়, তার জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আর পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি।"
একটা চেয়ারম্যান পদ। আর তা ঘিরেই পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক পুরসভায় কার্যত ঘটনার ঘনঘটা। নবনিযুক্ত চেয়ারম্যানের ডাকা প্রথম বোর্ড মিটিং-এ গরহাজির ছিলেন তৃণমূলেরই ৯ কাউন্সিলর সহ ১১ জন। আর এরপরই, ফের একবার, নবনিযুক্ত চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে আক্রমণ ছুড়ে দেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর পার্থসারথি মাইতি। তিনি বলেন, "শুভেন্দু অধিকারীর ভাবশিষ্য চঞ্চল খাঁড়াকে আমরা দুর্নীতির জন্য তখনও প্রতিবাদ করেছি, আজও প্রতিবাদ করেছি। একটা জেলা সভাপতি এসে শুধু চঞ্চল খাঁড়ার সঙ্গে গল্প করা আর টাকা তুলে নিয়ে যাওয়া। এটা হতে পারে না। সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক যে ওঁকে মানে না। এটা তার প্রমাণ।" পাল্টা তৃণমূল নেতা ও তমলুক পুরসভার নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান চঞ্চল খাঁড়া বলেন, "যদিও কোনও কাউন্সিলর এই ধরনের অভিযোগ করেন, তিনি আর যাই হোক না কেন, আমার মনে হয় না, তিনি আমার দলের কাউন্সিলর হতে পারেন। আইন কানুন মেনেই আমার মিটিং হয়েছে।" লোকসভা নির্বাচনে পারফরম্যান্সের নিরিখে, কিছুদিন আগেই রাজ্যের একাধিক পুরসভায় বড়সড় রদবদল করেছে তৃণমূল। শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে, তমলুক পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে, সরানো হয় দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়কে। সেই আসনে বিমল ভৌমিককে বসানোর কথা হলেও, পরবর্তীতে, ওই পদে আসেন চঞ্চল খাঁড়া। নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়ে, ভোট কুশলী সংস্থা IPAC-কে তুলোধনা করেন পার্থসারথি মাইতি। তিনি বলেন, "IPAC বলে একটি বড় সংস্থা আছে। যিনি সবাইকে নজরে রাখেন। তুমি টাকার বিনিময়ে এসেছ বাবা, তোমাকে জেতাতে হবে। কীভাবে জেতাবে ? আমাদের কথা না শুনেই একটা দুর্নীতিগ্রস্ত লোককে চেয়ারম্যান করেছ। কর্মীদের কাছে আবেদন, যেখানে দেখবেন সেখানে বেঁধে রাখুন।" এরপরই পার্থসারথি মাইতিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল।






















