Moyna: গভীর রাতেই ময়নার তদন্ত, আজ ময়নার বিজেপির নেতার শেষকৃত্য
এখনও সিবিআই তদন্তের দাবি অনড় রয়েছে বিজেপি নেতার পরিবার। রাজ্য পুলিশ সক্রিয় হলে খুন হতে না বলে দাবি করেছে পরিবার। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব গ্রামবাসীরা।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, ময়না: গভীর রাতে আলিপুর কমান্ড হাসপাতাল থেকে বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার কফিনবন্দি দেহ আনা হয় ময়নার বাকচায়। রাত থেকেই গ্রামে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। আজই হবে বিজেপি নেতার শেষকৃত্য। এখনও সিবিআই তদন্তের দাবি অনড় রয়েছে বিজেপি নেতার পরিবার। রাজ্য পুলিশ সক্রিয় হলে খুন হতে না বলে দাবি করেছে পরিবার। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব গ্রামবাসীরা।
আলিপুরের কম্য়ান্ড হাসপাতালে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হল ময়নার নিহত বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার। কম্য়ান্ড হাসপাতালের ৪ ফরেন্সিক এক্সপার্ট, অটোপসি সার্জেন এবং রাজ্য় সরকারের ২ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ নিয়ে তৈরি হয় বোর্ড। ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত ছিলেন নিহতের ছেলে। গোটা ঘটনার ভিডিওগ্রাফি হয়।
মাথায় বুলেট বিঁধেই মৃত্য়ু? রাজ্য় সরকারের ময়নাতদন্তের পর, হাইকোর্টের নির্দেশে, আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে ময়নার বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা হল!
আদালতের নির্দেশ মতো, মোট ৬ চিকিৎসকের মেডিক্য়াল বোর্ড গঠন হয়। এরমধ্য়ে কম্য়ান্ড হাসপাতালের ফরেন্সিক এক্সপার্ট ও অটোপসি সার্জেন ৪ জন। রাজ্য় সরকারের ২ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। ১ জন নীলরতন সরকার মেডিক্য়াল কলেজের। আর একজন কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালের।
পোস্ট মর্টেমের সময় হাজির ছিলেন নিহত বিজেপি নেতার ছেলে। গোটা ঘটনার ভিডিওগ্রাফি করা হয়। তবে, পোস্ট মর্টেমের আগে, তমলুক হাসপাতাল থেকে বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার মৃতদেহ কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে আনা নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। তমলুক হাসপাতালে ব্য়াপক উত্তেজনা তৈরি হয়। হাসপাতালের মর্গের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিজেপি।
পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় বচসা চলে বিজেপি কর্মীদের। নিহতের পরিবার অভিযোগ করে, হাসপাতাল থেকে বিজেপি নেতার দেহ বের করা নিয়ে টালবাহানা করছে পুলিশ। প্রমাণ নষ্টের চেষ্টা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মৃতের ছেলে।
বৃহস্পতিবার, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই অভিযোগ জানানো হয়। এই টালবাহানার মধ্য়েই,বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৪৪-এ নিহত বিজেপি কর্মীর দেহ নিয়ে রওনা দেয় পুলিশ। শববাহী গাড়ির সামনে পিছনে ছিল পুলিশের ভ্য়ান। কনভয়ের শেষের গাড়িতে ছিলেন নিহতের পরিজনরা। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছে পৌঁছতেই কলকাতা পুলিশের আরেকটি গাড়ি কনভয়ে যোগ দেয়।
বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ, আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে ঢোকে নিহত বিজেপি নেতার মৃতদেহ। সূত্রের খবর, অফিসিয়াল কাজকর্মের পর, দুপুর ২টো থেকে শুরু হয় ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া। রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ এরপর শেষকৃত্য়ের জন্য় কমান্ড হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নার বিজেপি নেতাকে। হাইকোর্টের নির্দেশ সোমবারের মধ্য়ে ময়না থানা ও মৃতের পরিবারের হাতে তুলে দিতে হবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট।