Purulia News: ছুটি পেতে প্রথম শ্রেণির ছাত্রকে 'খুন' অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের ?
Manbazar Police Station: গতকাল মানবাজার থানার পুলিশ অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক করে
হংসরাজ মাহাতো, মানবাজার : আবাসিক স্কুলের এক ছাত্রকে খুনের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গেছে পুরুলিয়ায়। সে প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ঘটনায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। গত ৩০ জানুয়ারি ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়ার মানবাজার থানার একটি আবাসিক স্কুলে। গতকাল মানবাজার থানার পুলিশ অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক করে।
ছাত্রের দাদু বলেন, 'ওরা বলছে জলে ডুবে মারা গেছে। কিন্তু, আমাদের তা মনে হচ্ছে না। নাকে-কানে-মুখে রক্ত লেগে রয়েছে। আমরা সঠিক তদন্ত চাইছি। নিরপেক্ষ তদন্তে যেন শাস্তি হয়। একটা স্কুলে পাঠিয়েছি লেখাপড়া করার জন্য। কিন্তু, স্কুল কর্তৃপক্ষ দেখভাল করেননি। এত বড় ঘটনা ঘটল, ওরা কী করছিল ?'
এনিয়ে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "মালবাজার থানার আওতায় একটি পুকুরের পাশ থেকে ক্লাস ওয়ানের এক ছাত্রের দেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীকালে, আমরা তদন্তে নেমে কিছু ক্লু পাই। তার ভিত্তিতে স্কুলেরই অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। সে খুনের কথা স্বীকার করে। আমরা তাকে আটক করেছি। তদন্ত করা হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। খুনের উদ্দেশ্য হিসাবে ওই ক্লাসেরই একটি বাচ্চা আমাদের কাছে স্বীকার করেছে, ওদের মনে হয়েছিল যে ছেলেটি মারা গেলে হয়তো ওরা ছুটি পাবে। এই তত্ত্বটি একেবারে তদন্ত-প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। এনিয়ে আমরা তদন্ত করছি।"
গত শনিবার এক বালকের হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কামারহাটি (Kamarhati) এলাকা। ৩০ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিল সে, এরপর শনিবার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার হয়। অপহরণের অভিযোগে খড়দা থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। আজ দেহ উদ্ধার। প্রতিবাদে কামারহাটির আলপাইন ডেয়ারি মোড়ে বিটি রোড অবরোধ করা হয়।
গতবছর ঠিক এই সময়েই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে একটি মর্মান্তিক খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। সেবারও ৫ বছরের এক শিশুর মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছিল। বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছিল মৃতদেহ।
পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া যায়, দেহের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর মেলে, কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন শিশুর বাবা। মায়ের সঙ্গে এক যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই শিশুকে খুন করা হয়েছিল বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।