Purulia : স্কুলে মৃত্যুফাঁদ, পুরুলিয়ায় ছাদ থেকে ভেঙে পড়ল চাঙড়, আতঙ্কে পড়ুয়ারা
School Building Collapsed : আর কতও প্রাণ গেলে, হুঁশ ফিরবে? উঠছে প্রশ্ন।
হংসরাজ সিংহ, পুরুলিয়া : এক সপ্তাহের মধ্যে দু-দুটো প্রাণ গিয়েছে, জখম হয়েছে আরও ২ পড়ুয়া। তারপরও হুঁশ ফেরেনি। আবারও সেই পুরুলিয়ার (Purulia) স্কুলে মৃত্যুফাঁদ। এবার পারাবেলিয়া কোলিয়ারি হাইস্কুলে ছাদ থেকে ভেঙে পড়ল চাঙড়। কেউ হতাহত না হলেও, আতঙ্কে ভুগছে পড়ুয়ারা।
একাধিক জেলায় বেহাল স্কুল
মালদা, পুরুলিয়ার ভয়ঙ্কর স্মৃতি এখনও টাটকা। তারই মধ্যে ফের পুরুলিয়ার এক সরকারি স্কুলে মৃত্যুফাঁদ। সোমবার পুরুলিয়ার পারাবেলিয়া কোলিয়ারি হাইস্কুলে দোতলার বারান্দায় ছাদ থেকে ভেঙে পড়ে চাঙড়। যদিও সেসময় স্কুল চলছিল না। তাই দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে পড়ুয়ারা।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, সোমবার স্কুল খোলার পর দেখা যায় দোতলার বারান্দা, ছাদের একাংশের চাঙড় ভেঙে পড়ে রয়েছে। ওই বারান্দা দিয়েই শৌচালয়ে যাতায়াত করে পড়ুয়ারা। স্কুল চলাকালীন ওই ঘটনা ঘটলে বড়সড় দুর্ঘটনা হতে পারত। ভেবেই আঁতকে উঠছে পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকরা।
ক্রমাগত বিপত্তি, উঠছে প্রশ্ন
গত ১০ নভেম্বর স্কুলের দেওয়াল ভেঙে এক ছাত্রের মৃত্যু হয় মালদায়। তার ঠিক পরের দিন স্কুলের দেওয়াল ভেঙে ছাত্র-মৃত্যু ঘটে পুরুলিয়ায়। ১১ নভেম্বরই মুর্শিদাবাদে স্কুলে সিলিং ফ্যান ভেঙে জখম হন ২ জন। যার পর এবার পুরুলিয়ায় ফের স্কুলের ছাদ থেকে ভেঙে পড়ে চাঙড়। পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই স্কুলের অবস্থা শোচনীয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, আমরা অনেকদিন থকে বলছি। মেরামত করা হয়নি। আতঙ্কে আছি। পাশাপাশি তাঁদের আশঙ্কা, দেখেছি স্কুলের অবস্থা শোচনীয়। ভয় হচ্ছে, কীভাবে ছেলেমেয়েদের পাঠাব।
প্রশাসনকে দ্রুত স্কুল বিল্ডিং মেরামতির আর্জি জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পারাবেলিয়া কোলিয়ারি হাইস্কুলের টিচার ইন চার্জ সত্যপ্রিয় গুরু বলেছেন, 'এই মাসেই দায়িত্ব নিয়েছি। এসেই মেরামতের জন্য বিডিও-কে জানিয়েছি। দ্রুত মেরামত করা হোক।' আপাতত বারান্দার ওই রাস্তা বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে, মালদার মোথাবাড়ির বাঙ্গিটোলা হাইস্কুলে, শৌচালয়ের দেওয়াল ভেঙে মৃত্যু হয় একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের। তারপর দিনই পুরুলিয়ার, শ্যামসুন্দরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শৌচাগারের দেওয়াল ভেঙে প্রাণ হারায় ৯ বছরের এক বালক। সেদিন মুর্শিদাবাদের একটি স্কুলে সিলিং ফ্যান ভেঙে জখম হয় দুই ছাত্র। আর এবার পুরুলিয়ার আরও এক স্কুলে বিপত্তি। আর কতও প্রাণ গেলে, হুঁশ ফিরবে? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন- আদালতের প্রশ্নের মুখে OMR শিটে নম্বর বদল হওয়া একাধিক চাকরিপ্রাপককে তলব করল সিবিআই