R G Kar News: 'মুখ বন্ধ করে রাখুন, যেটা হচ্ছে হতে দিন', সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বয়ান প্রাক্তন অ্যাকাউন্টস অফিসারের
R G Kar News: এদিন আর জি কর দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের সময় একাধিক চাঞ্চল্যকর দাবি জানিয়েছেন তিনি।

প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : আর জি কর কাণ্ডে আদালতে চাঞ্চল্যকর সাক্ষ্য প্রাক্তন অ্যাকাউন্টস অফিসারের। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বয়ান দিলেন প্রাক্তন অ্যাকাউন্টস অফিসার সমর দত্ত। এদিন আর জি কর দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের সময় একাধিক চাঞ্চল্যকর দাবি জানিয়েছেন তিনি। আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে আর জি কর দুর্নীতি মামলার বিচারপ্রক্রিয়া চলছে।
বিস্তারিত...
আর জি করে দুর্নীতি মামলার বিচার-প্রক্রিয়া চলেছে। এদিন সিবিআইয়ের তরফে আর জি করের প্রাক্তন অ্যাকাউন্টস অফিসার সমর দত্তকে কোর্টে নিয়ে আসা হয়। তিনি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্বে বিচারককে জানান, তিনি অ্যাকাউন্টস অফিসার ছিলেন। পাশাপাশি তিনি, পারচেজিং কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০২১ সালে সন্দীপ ঘোষ অধ্যক্ষ হিসাবে আর জি করে যোগ দেন। তার আগে পর্যন্ত নিয়ম মেনেই সমস্ত টেন্ডার বরাত করা হত। সমস্ত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হত। অর্থাৎ, পারচেজিং কমিটির সঙ্গে বৈঠক করা হত। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হত। বুকস অফ রেকর্ডস মেইন্টেন করা হত। কিন্তু, প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ জয়েন করার পর এই সমস্ত নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি। সন্দীপ ঘোষই ঠিক করতেন কীভাবে কাকে টেন্ডার দেওয়া হবে। আরও চাঞ্চল্যকর দাবি তিনি করছেন। তিনি লিখিতভাবে একাধিক টেন্ডার প্রক্রিয়ায় আপত্তি জানিয়েছিলেন। যে সংস্থাকে বরাত দেওয়া হচ্ছে তার লাইসেন্স এক্সপায়ার হয়ে গেছে। একাধিকবার তিনি জানিয়েছেন। তা সত্ত্বেও সেই সংস্থাকেই টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল। তিনি দাবি করেছেন, এই বিষয় নিয়ে তিনি লিখিতভাবে সন্দীপ ঘোষের কাছে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এটা বেআইনি। তখন সন্দীপ ঘোষ তাঁকে বলেছিলেন, পুরো ব্যাপারটায় মুখ বন্ধ করে রাখুন। যেটা হচ্ছে হতে দিন।
সন্দীপ ঘোষ অধ্যক্ষ থাকাকালীন নানাবিধ আর্থিক দুর্নীতির পাশাপাশি আর জি কর মেডিক্যালের মর্গেও বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি আর জি কর হাসপাতালে ENT বিশেষজ্ঞদের সর্বভারতীয় সংগঠনের একটি ওয়ার্কশপ ছিল। সেই ওয়ার্কশপে, সন্দীপ ঘোষের নির্দেশে পুলিশের আনা পাঁচটি ফ্রেশ বডি নিয়ম বহির্ভূতভাবে মর্গ থেকে অ্য়ানাটমি বিভাগে পাঠানো হয় বলে অভিযোগ। যে দেহগুলি ওয়ার্কশপে ব্য়বহার করা হয়েছিল, তাঁদের পরিবারকে সেসম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এবিপি আনন্দে ওই খবর সম্প্রচারের পর তোলপাড় শুরু হয়। আর জি কর দুর্নীতি মামলার তদন্তেও বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়।























