![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Ration Scam : জ্যোতিপ্রিয়র সিএ-র নির্দেশে জমা পড়ত টাকা ! রেশনের কালো টাকা সাদা করতে বাঁকুড়ার ঠিকানায় জোড়া কোম্পানি
ED : সংস্থার অন্যতম অংশীদার চণ্ডীপ্রসন্ন জেনা বয়ানে স্বীকার করেছেন, কোম্পানি খোলাই হয়েছিল রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার জন্য।
![Ration Scam : জ্যোতিপ্রিয়র সিএ-র নির্দেশে জমা পড়ত টাকা ! রেশনের কালো টাকা সাদা করতে বাঁকুড়ার ঠিকানায় জোড়া কোম্পানি Ration Distribution Scam Jyotipriyo Mullick CA Directed to open two companies in in Bankura address to transfer money Ration Scam : জ্যোতিপ্রিয়র সিএ-র নির্দেশে জমা পড়ত টাকা ! রেশনের কালো টাকা সাদা করতে বাঁকুড়ার ঠিকানায় জোড়া কোম্পানি](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/11/07/6a4a8430bd6df8a45c29faab63a835ed169934354974752_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : রেশন বন্টন দুর্নীতিতে কালো টাকা সাদা করতে বাঁকুড়ার (Bankura) ঠিকানায় খোলা হয়েছিল দুটি কোম্পানি। ED-র দাবি, রেশন দুর্নীতির টাকা গিয়েছে মেসার্স AJ অ্য়াগ্রোটেক এবং মেসার্স AJ রয়্যাল প্রাইভেট লিমিটেড নামে দুটি পার্টনারশিপ কোম্পানিতে। সংস্থার অন্যতম অংশীদার চণ্ডীপ্রসন্ন জেনা বয়ানে স্বীকার করেছেন, কোম্পানি খোলাই হয়েছিল রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার জন্য।
মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriyo Mullick) চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট শান্তনু ভট্টাচার্যর নির্দেশেই টাকা জমা পড়েছিল বলে ED-র দাবি। দুটি সংস্থার অ্যাকাউন্টে থাকা ১৬ কোটি ৮০ লক্ষ টাকাও বাজেয়াপ্ত করেছে ED। এবার রেশন দুর্নীতিতেও কি উদ্ধার হবে টাকার পাহাড় ? রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৮ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ED সূত্রে খবর। তার মধ্যে ১৬ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার ব্যাঙ্ক আমানত এবং ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা নগদে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারির পরই সামনে এসেছিল তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড, গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড এবং গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড নামে তিনটি কোম্পানির নাম ! ইডি সূত্রে দাবি, রেশন দুর্নীতির কালো টাকা প্রথমে এই তিনটি কোম্পানির মাধ্যমেই সাদা করা হয়। সেই টাকার অঙ্কটাও নেহাত কম নয়!
সূত্রের দাবি, শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেডে ৭ কোটি ২২ লক্ষ ৮১ হাজার ৬৫৮ টাকা। গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেডে ৬ কোটি ৫০ লক্ষ ১৯ হাজার ১৮৪ টাকা এবং ৬ কোটি ৫১ লক্ষ ১৫ হাজার ৩৫২ টাকা জমা পড়েছিল গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড নামে কোম্পানির অ্যাকাউন্টে। অর্থাৎ তিনটে কোম্পানি মিলিয়ে মোট জমা টাকার পরিমাণ ২০ কোটি ২৪ লক্ষ ১৬ হাজার ১৯৪ টাকা।
এই প্রেক্ষাপটে সোমবার বিস্ফোরক দাবি করেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক। তাঁর দাবি, মন্ত্রীর নির্দেশেই তাঁর নিজের স্ত্রী ও মাকে এই ৩টি সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসাতে হয়েছিল। এবার ইডির দাবি, মন্ত্রীর সিএ-র নির্দেশেও খোলা এসেছিল এরকম কোম্পানি। ইডি সূত্রে দাবি, রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতে বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ঠিকানায় খোলা হয়েছিল আরও দুটি কোম্পানি। মেসার্স AJ অ্য়াগ্রোটেক এবং মেসার্স AJ রয়্যাল প্রাইভেট লিমিটেড।
আরও পড়ুন- রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলার তদন্তে টানা ২৭ ঘণ্টা তল্লাশি ED-র, উদ্ধার প্রায় দেড় কোটি টাকা
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)