Ration Scam : রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলার তদন্তে টানা ২৭ ঘণ্টা তল্লাশি ED-র, উদ্ধার প্রায় দেড় কোটি টাকা
ED Raid : সূত্রের খবর, শুধুমাত্র অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডের এজেসি বোস রোডের অফিস থেকেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১ কোটি টাকা।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Distribution Scam) মামলার তদন্তে টানা ২৭ ঘণ্টা তল্লাশির পর কলকাতা-সহ আরও কয়েকটি জায়গা থেকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে ED। সূত্রের খবর, শুধুমাত্র অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডের এজেসি বোস রোডের অফিস থেকেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১ কোটি টাকা। রেশন দুর্নীতি তদন্তে আরও কয়েকটি অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বাকি ৪০ লক্ষ টাকা মিলেছে। ED-র অনুমান বাজেয়াপ্ত করা সমস্ত টাকাই রেশন দুর্নীতির।
জোড়া কোম্পানি বাঁকুড়াতেও- এদিকে, ইডি সূত্রে খবর, কালো টাকা সাদা করতে বাঁকুড়ার ঠিকানায় খোলা হয়েছিল দুটি কোম্পানি। ED-র দাবি, রেশন দুর্নীতির টাকা গিয়েছে মেসার্স AJ অ্য়াগ্রোটেক এবং মেসার্স AJ রয়্যাল প্রাইভেট লিমিটেড নামে দুটি পার্টনারশিপ কোম্পানিতে। সংস্থার অন্যতম অংশীদার চণ্ডীপ্রসন্ন জেনা বয়ানে স্বীকার করেছেন, কোম্পানি খোলাই হয়েছিল রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার জন্য। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriyo Mullick) চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট শান্তনু ভট্টাচার্যর নির্দেশেই টাকা জমা পড়েছিল বলে ED-র দাবি। দুটি সংস্থার অ্যাকাউন্টে থাকা ১৬ কোটি ৮০ লক্ষ টাকাও বাজেয়াপ্ত করেছে ED। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৮ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ED সূত্রে খবর।
রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) কালো টাকা সাদা করা হয়েছিল তিনটি ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে, আদালতে আগেই দাবি করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। তাদের দাবি, ওই তিনটি সংস্থাই খোলা হয়েছিল ২০০৮ সালে। তিনটি সংস্থার ঠিকানাও এক। এমনকি ওই তিন সংস্থার অংশীদার হিসেবে নাম রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানের আত্মীয় অভিষেক বিশ্বাসের। তবে বরাবর অভিষেকই অংশীদার ছিলেন না বলে দাবি ED-র। (Jyotipriya Mallick)। ওই তিনটি ভুয়ো সংস্থা হল, শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড, গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড এবং গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড। ED-র দাবি করেছিল, ওই সংস্থাগুলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অতিরিক্ত ৮ কোটি টাকা নগদে জমা পড়ে। সব মিলিয়ে ২০ কোটি টাকারও বেশি কালো টাকা সাদা করা হয়।
তল্লাশি নিয়োগ দুর্নীতিতেও- নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) ফ্ল্যাটে হানা দিল ED। রাজারহাটের এই ফ্ল্যাট থেকেই চলতি বছরের জানুয়ারিতে গ্রেফতার হন কুন্তল। আবাসন কর্তৃপক্ষের দাবি, এখানে কুন্তল ঘোষ ভাড়া থাকতেন। ওই ফ্ল্যাট এখন বিক্রি হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- হু হু করে নামছে তাপমাত্রা, সৌজন্যে উত্তুরে হাওয়া, বঙ্গে শীত কবে ?