Recruitment Scam : শেষমেশ সুপ্রিম-স্বস্তি, OMR কেলেঙ্কারি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে 'রক্ষাকবচ'
Supreme Court of India : গৌতম পাল ও পার্থ কর্মকারের আইনজীবীরা সর্বোচ্চ আদালতে সওয়াল করেন, ২০১৪ থেকে ২০১৭-র মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের মক্কেলদের নিয়োগ হয়েছে ২০২২ সালে।
বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি : ওএমআর কেলেঙ্কারি (OMR Sheet Scam) মামলায় সুপ্রিম কোর্টে রক্ষাবকচ পেলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল ও ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার। মামলার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের গ্রেফতার করা যাবে না। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে জানাল সর্বোচ্চ আদালত।
OMR কেলেঙ্কারি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India) আপাতত স্বস্তি পেলেন গৌতম পাল ও পার্থ কর্মকার। মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ও ডেপুটি সেক্রেটারিকে রক্ষাকবচ দিল সর্বোচ্চ আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশের ওপরও স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এই মামলায়, ১৮ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল ও ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারকে CBI তদন্তের মুখোমুখি হতে হবে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পেশ করা রিপোর্ট দেখে বিচারপতি নির্দেশ দেন, প্রয়োজন মনে করলে পর্ষদের কোনও আধিকারিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে CBI।
এমনকী, তদন্তে সহযোগিতা না করলে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মনে করলে তাঁদের হেফাজতেও নিতে পারে। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি এবং ডেপুটি সেক্রেটারি। গত সোমবার মামলার শুনানিতে গৌতম পাল ও পার্থ কর্মকারের আইনজীবীরা সর্বোচ্চ আদালতে সওয়াল করেন, ২০১৪ থেকে ২০১৭-র মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের মক্কেলদের নিয়োগ হয়েছে ২০২২ সালে।
এর প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট ৩ নভেম্বরের মধ্য়ে সিবিআইকে তাদের বক্তব্য় জানাতে বলে। যদিও সেদিন পর্ষদ সভাপতি ও ডেপুটি সেক্রেটারিকে রক্ষাকবচ দেয়নি সর্বোচ্চ আদালত। তাঁদের উদ্দেশে বিচারপতিরা বলেন, আপনারা যদি সহযোগিতাই করেন, তা হলে গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন কেন ?
সিবিআইয়ের বক্তব্য় শোনার পর রক্ষাকবচের ব্য়াপারে চিন্তাভাবনা করা হবে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার তাঁদের রক্ষাকবচ দিল সর্বোচ্চ আদালত।