Durga Puja 2024:সরকারি অনুদান ফেরত, নেই বিজ্ঞাপনও, অনাড়ম্বরভাবে পুজোর আয়োজন বেলগাছিয়ায়
Kolkata News: উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়া যুব সম্মিলনীর দুর্গামঞ্চ থেকে আর জি কর মেডিক্য়ালের দূরত্ব মেরেকেটে ১০০ মিটার।
অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: এবছর জৌলুষহীন, অনাড়ম্বরভাবেই পুজোর আয়োজন করেছে, বেলগাছিয়া যুব সম্মিলনী। তাদের দোরগোড়াতেই আর জি কর হাসপাতাল (RG Kar Medical College)। সেখানে যে নারকীয় ঘটনা ঘটে গেছে, সেই আবহে জাঁকজমকপূর্ণভাবে উৎসবের আয়োজন থেকে বিরত থেকেছেন তাঁরা।
অনাড়ম্বরভাবে পুজোর আয়োজন: পুজো মণ্ডপের প্রায় দোরগোড়ায় আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজ। উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়া যুব সম্মিলনীর দুর্গামঞ্চ থেকে হাসপাতালের দূরত্ব মেরেকেটে ১০০ মিটার। কিন্তু আর জি কর হাসপাতালে যে ভয়াবহ, নারকীয় ঘটনা ঘটে গেছে, তারপর আর সেইভাবে উৎসবে সামিল হতে পারছে না এখানকার পুজো উদ্য়োক্তারা। ম্লান এখানকার দুর্গোৎসব। আগেই সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। গ্রহণ করেননি কোনও বিজ্ঞাপন। ৮০ তম বর্ষে, শুধুমাত্র নিজেরা চাঁদা তুলে, প্রতিমা এনে পুজো করছে বেলগাছিয়া যুব সম্মিলনীর দুর্গামঞ্চ। সেখানে নেই কোনও জৌলুষ, কোনও আড়ম্বর।
বেলগাছিয়া রোডের এই গলিতে আড্ডা দিতে আসেন আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজের অনেক পড়ুয়াই। বিগত বছরে অনেক আবাসিক পড়ুয়া পুজোর ৪টে দিন এই পুজোয় মেতে থাকতেন। অঞ্জলি দিতেন। সেখানে, এই বছর কিছুতেই আগের বছরের মতো উৎসবের দিনে ফিরে যেতে পারছেন না এখানকার বাসিন্দারা। বেলগাছিয়া যুব সম্মিলনীর উদ্য়োক্তা রমেশ পাণ্ডে বলেন, "আর জি করের জুনিয়র ডাক্তার, সটুডেন্ট এই গলিতে আড্ডা মারে। বিশেষ করে যারা হস্টেলে থাকে, তারা এখানে এসে অঞ্জলি দেয়, সেখানে আর জি করের স্টুডেন্টরা পরোক্ষভাবে এই গলির একটা পার্ট, ফলে প্রভাব পড়বেই।''
পাথুরিয়াঘাটা ৫-এর পল্লি সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির ৮৫ বছরের থিম ব্রত পার্বণ। যে নারী ব্রত পার্বণ করেন, সেই নারীই আবার প্রয়োজনে হাতে অস্ত্র তুলে নেন। এই ভাবনাই ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে তাঁদের মণ্ডপে। এই পুজোর সভাপতি, তৃণমূল কাউন্সিলর ইলোরা সাহা। তাঁর নেতৃত্বে প্রতীকী অস্ত্র নিয়ে মিছিল করেন পুজো কমিটির সদস্য়রা। ইলোরা সাহা বলেন, "আর জি করের ঘটনায় আমরা ব্যথিত। প্রতিবাদ করছি ধিক্কার জানাচ্ছি। তিলোত্তমার ফাঁসির দাবি আমরা করছি মুখ্যমন্ত্রী ও করেছেন। গতকাল মানববন্ধন করেছে একই দাবীতে ফাঁসির দাবিতে। সিবিআই কেন দেরি করছে। আইন বলেছে নিজের প্রয়োজনে অস্ত্র ব্যবহার করতে পারো তাই তাই মায়ের দেওয়া এই অস্ত্র একটা প্রতীক। নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে পাপিষ্ঠদের বোধ করতে পারি।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।