RG Kar Protest : কুণালের প্রকাশ করা অডিওয় গলা তারই ? স্বীকার করে নিলেন আন্দোলনকারী অনিকেতই ?
কুণাল ঘোষের দাবি, এই অডিও জুনিয়র ডাক্তারদের কথোপকথনের। আর এখানে স্পষ্ট উঠে আসছে, জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে মতের বিভাজনের বিষয়টি।
কলকাতা : মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকে। তার আগে রবিবার সাড়া ফেলে দেয় একটি অডিও। গত কয়েকদিনে একাধিক অডিও প্রকাশ করে তোলপাড় করেছেন কুণাল ঘোষ। এরই মধ্যে একটি অডিও প্রকাশ করে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর আঘাত হানার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি করেন কুণাল, আর এই পরিকল্পনা শুধু সরকারের বদনাম করার জন্যই, এও দাবি করেন তিনি। তারপরই কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন বাম নেতা কলতান দাশগুপ্ত। এরপর আবার এক অডিও প্রকাশ করলেন তিনি, রবিবার। এবার নিশানায় জুনিয়র ডাক্তাররা। কয়েকটি কণ্ঠের কথোপকথন প্রকাশ করে কুণাল ঘোষের দাবি, এই অডিও জুনিয়র ডাক্তারদের কথোপকথনের। আর এখানে স্পষ্ট উঠে আসছে, জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে মতের বিভাজনের বিষয়টি। এমনটাই দাবি করেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক। সেই বড় অডিও ক্লিপের কিছু অংশ নিচে দেওয়া হল।
কণ্ঠ ২ : জনগণ (Mass) নয়, তুই কী বুঝিস বল। জনগণের কথা ছেড়ে দে।
কণ্ঠ ১ : না না, আমি বুঝছি যে জনগণ যেটা বলছে। আমার বক্তব্য এটা।
কণ্ঠ ২ : এবার জনগণ কি এটা বোঝে? যে কপিল সিব্বল, আজকে মুখ্যমন্ত্রীর আসা, পরপর আগের তিনটে মেল লেখা, এগুলো সব সুপ্রিম কোর্টে বলবে সে? এক নম্বর। দ্বিতীয় নম্বর, যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, সেই ২৩ জনের বাড়ির লোককে ২ লক্ষ টাকা করে মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছে এবং তাঁর কাছ থেকে করা নিশ্চয়তা নেই, সেটা সুপ্রিম কোর্টে তুলে ধরবে না তুই জানিস।
কণ্ঠ ১ : সেই সবই আমি...
কণ্ঠ ২ : তোকে, এই যতগুলো ছেলের শাস্তি হবে সব দায়িত্ব তোকে নিতে হবে।
কণ্ঠ ১ : কেন নিতে হবে?
কণ্ঠ ২ : কেন নিতে হবে না? তুই তো আলোচনা চালিয়ে যেতে চাইছিস না...
এই ক্লিপ প্রকাশ করে কুণাল দাবি করেন, টকোনও কোনও মহল চাইছেন যে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী অভিভাবকের মতো যে অনুরোধগুলো করছেন, তাতে সাড়া দিয়ে যেন জটটা না খোলে, তারা এই জুনিয়র চিকিৎসকদের মধ্যে কিছু অংশের আবেগকে বিপথে চালিত করার, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চালিত করার জন্য প্রভাব সৃষ্টি করছেন কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।'
এই অডিও ক্লিপ শুনে আন্দোলনের অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাতো দাবি করেন, তিনি অডিওটা শুনেছেন। অডিওটার একটা ভয়েস তাঁরই। ওটা তাঁদের আলোচনার অডিও। কিন্তু তা বলে এটা ঠিক নয় যে, এই আন্দোলন বিভাজিত। ত্রিবিভাজিত বা দ্বিবিভাজিতের তত্ত্ব ঠিক নয়। অনিকেতের দাবি ,এই আলোচনা বিভিন্ন কলেজের আন্দোলনকারীদের। আলোচনায় বিভিন্ন লোক থাকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই মতপার্থক্য হয়।
আমি অডিওটা শুনেছি। অডিওটার একটা ভয়েস আমারই। ওটা আমাদের আলোচনার অডিও। এটাও ঠিক। কিন্তু তারপর যেটা বলেছেন, আন্দোলন বিভাজিত না ত্রিবিভাজিত, দ্বিবিভাজিতের তত্ত্ব যিনি এনেছেন, সেই প্রসঙ্গে বলতে চাই যে আমরা যেভাবে আলোচনা করি,সেটা হচ্ছে বিভিন্ন কলেজগুলোতে শুরুতে আলোচনা হয়। ফলে সেখানে বিভিন্ন লোক থাকার ফলে, সেই আলোচনাগুলোকে নিয়ে বিভিন্ন মতপার্থক্য হয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে