সঞ্জয় রায়ের ভাগ্নির রহস্যমৃত্যু! ২ বোনের এক স্বামী! সেখানেও কেঁচো খুঁড়তে কেউটে?
স্ত্রী মৃত্য়ুর পর শ্যালিকা পূজাকে বিয়ে করেন নাবালিকার বাবা ভোলা সিং। প্রতিবেশীদের কথায় তারপর থেকেই শুরু হয়ে যায় মেয়ের উপর অকথ্য মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার।

হিন্দোল দে , পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : বাবার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ। মায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। তারপর নিজের মাসির সঙ্গে বাবার বিয়ে। এরকম একের পর এক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে ছোট্ট মেয়েটা। এখানেই শেষ নয়, প্রতিদিন অকথ্য অত্যাচার বাবা ও সৎ মায়ের। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে ভবানীপুরে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর। মঙ্গলবার ওয়ার্ড্রোব থেকে উদ্ধার হয়েছে তার ঝুলন্ত দেহ! আর ঠিক এই ঘটনার পরই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটেছে প্রতিবেশীদের মধ্যে। উত্তেজিত প্রতিবেশীদের মুখেই প্রথমে জানা যায়, এই পরিবারের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে সঞ্জয় রায়। সেই সঞ্জয় রায়। আর জি করে চিকিৎসককে খুন-ধর্ষণ মামলায় একমাত্র দোষীসাব্যস্ত। মৃত ছোট্ট মেয়েটি আর জি করকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের ভাগ্নি। তার উপর নারকীয় অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে নাবালিকার সৎ মা ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। এই সৎ মা হলেন সঞ্জয়ের বোন আর মৃত শিশুটির মাও ছিলেন সঞ্জয়েরই বোন। প্রতিবেশীদের দাবি, নাবালিকার মায়ের মৃত্যু নিয়েও রহস্য রয়েছে। আর এবারও খুন করা হয়েছে নাবালিকাকে !
এবার নাবালিকা মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্য়ু। একের পর এক ঘটনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার প্রতিবেশীদের ক্ষোভ আছড়ে পড়ে নাবালিকার বাবা ও সৎ মায়ের ওপর। এবার দেখে নেওয়া যাক, এই পরিবারের সঙ্গে কীভাবে জড়িয়ে সঞ্জয় রায়। আর জি করে চিকিৎসককে খুন-ধর্ষণ মামলায় একমাত্র দোষীসাব্যস্ত ও সাজাপ্রাপ্ত সঞ্জয় রায়ের ভাগ্নিই এই মৃত মেয়েটি। তার সৎ মা পূজা হলেন সঞ্জয় রায়ের দিদি। আবার নাবালিকার মা ববিতা-ও সঞ্জয় রায়েরই আরেক দিদি। কয়েকবছর আগে তাঁরও ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, দিদি ববিতার সঙ্গে বিয়ের পর শ্য়ালিকা পূজার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান নাবালিকার বাবা। এরপরই অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয় ববিতার, উদ্ধার হয় ঝুলন্ত দেহ। স্ত্রী মৃত্য়ুর পর শ্যালিকা পূজাকে বিয়ে করেন নাবালিকার বাবা ভোলা সিং। প্রতিবেশীদের কথায় তারপর থেকেই শুরু হয়ে যায় মেয়ের উপর অকথ্য মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার।
এক প্রতিবেশীর কথায়, 'অভয়াকাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের দুই দিদি। শালির সঙ্গে প্রেম। তার জেরেই এই ঘটনা। যে মেয়ে জুতোর ফিতে বাঁধতে জানে না, সে কী করে গলায় ফাঁস লাগাবে' । অর্থাৎ সঞ্জয় রায়ের বোনের পারিবারিক সম্পর্কেও পরতে পরতে ধোঁয়াশা, রহস্য। তবে পুলিশ সূত্রে খবর,ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে খুনের কোনও ইঙ্গিত এখনও মেলেনি। সব অভিযোগই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।






















