Nadia News:ফুলিয়া প্রফুল্লনগরের ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, মৃত ২
Road Accident:১২ নম্বর জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দু'জনের। জখম বেশ কয়েকজন। নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া প্রফুল্লনগরের ঘটনা।
সুজিত মণ্ডল, নদীয়া: ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত্যু (Nadia Accident Kills) হল দু'জনের। জখম বেশ কয়েকজন। নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর থানার ফুলিয়া প্রফুল্লনগরের ঘটনা। সেখানে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বাস এবং স্করপিওর মুখোমুখি ধাক্কা লাগে।
কী ঘটেছিল?
প্রাথমিক ভাবে যা জানা গিয়েছে তাতে, যাত্রীবোঝাই বাস এবং একটি স্করপিও গাড়ির মধ্যে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। বাসটি কলকাতার দিকে যাচ্ছিল বলে খবর। ঠিক সেই সময় উল্টো দিক থেকে একটি স্করপিও কৃষ্ণনগরের দিকে আসে। বাসযাত্রীদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতাল ও ফুলিয়া ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। তবে স্করপিও-তে থাকা দুই যাত্রীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। বাকিদের হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসা চলছে। এখনও তাঁদের নাম-পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। তাঁরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছেছে। স্করপিও আটকে থাকা মৃতদেহ গুলি উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এ রাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা নেহাত কম নয়। কম-বেশি রাজ্যের নানা প্রান্তে প্রায়ই এই ধরনের ঘটনার কথা শোনা যেতে থাকে। হালে যেমন বেহালার চৌরাস্তায় এক সাত বছরের পড়ুয়ার মর্মান্তিক মৃত্যুতে হইচই পড়ে গিয়েছিল।
বেহালার স্মৃতি এখনও স্পষ্ট...
চলতি মাসের গোড়ার দিকে এক সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল বেহালা। মাটিবোঝাই লরির ধাক্কায় প্রাণ গিয়েছিল বড়িশা হাইস্কুলের প্রাইমারি সেকশনের পড়ুয়ার। নাম সৌরনীল সরকার (৭)। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তার বাবা সরোজকুমার সরকারকে। পরে তাঁকে এসএসকেএম-এর ট্রমা কেয়ার সেন্টারের নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ চেহারা নেয় বেহালা। মৃতদেহ আটকে রেখে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। উত্তেজিত জনতা সরকারি বাসে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় পুলিশ-ব়্যাফ।স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ দ্বিতীয় শ্রেণির ওই পড়ুয়া তার অভিভাবকের সঙ্গে স্কুলে যাচ্ছিল। বেহালা চৌরাস্তার মোড়ে একটি ট্রাক শিশুটিকে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। অভিভাবক তথা শিশুটির বাবাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, সিগন্যাল পড়ে যাওয়ার পর বাবার সঙ্গে সাইকেলে পাড় হচ্ছিল ওই বাচ্চাটি। অন্য দিক থেকে একটি কর্পোরেশনের ট্রাক এসে বাচ্চাটির মাথা পিষে দিয়ে চলে যায়। দুর্ঘটনার পর লরিটিকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। কোনও গার্ড ছিল না সেখানে। তুমুল আলোড়নের পর পরিস্থিতি বদলে যায় বেহালা চৌরাস্তার ওই এলাকায়। কিন্তু আরও একটু আগে সাবধান হলে মর্মান্তিক পরিণতি এড়ানো যেত না?
আরও পড়ুন:টিভিতে ডার্বি দেখেছি, এবার ভরা গ্যালারির সামনে ডার্বিতে গোল করলাম: নন্দকুমার