(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Raju Jha Murder: শক্তিগড়ে শ্যুটআউট, তদন্তে ১২ সদস্যের সিট গঠন
পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের সিট গঠন। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ ফরেন্সিকের।
কলকাতা: শক্তিগড়ে শ্যুটআউট, তদন্তে ১২ সদস্যের সিট গঠন। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের সিট গঠন। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ ফরেন্সিকের। শক্তিগড়ে জাতীয় সড়কের ধারে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা-কে গুলি করে খুন। গুরুতর আহত মৃতের সঙ্গীও।
১২ সদস্যের সিট গঠন: পুলিশ সূত্রের খবর, গতকাল গাড়িতে বসে থাকার অবস্থাতেই রাজু ঝা-কে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় আততায়ীরা। ঘটনাস্থলের আশেপাশের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। আততায়ীদের গাড়ি দ্রুত চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। এই ঘটনার তদন্তে এবার ১২ সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছে। যে গাড়িতে খুন হয়েছেন কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা, সেই গাড়িটির মালিক হলেন গরুপাচার মামলায় অভিযুক্ত আবদুল লতিফ। ইলামবাজারে বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে লতিফের। সেই বাড়ির গ্যারেজেই থাকত ওই সাদা রঙের টয়োটা ফরচুনা। সূত্রের খবর, গতকাল দুপুরে নিজের চালককে দুর্গাপুরে পাঠান লতিফ। গাড়িটির কলকাতা যাওয়ার কথা ছিল। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি গাড়িটি কেনা হয়। বোলপুর আরটিওতে গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ছিল। সূত্রের খবর, লতিফের হোটেল, পোল্ট্রি সহ বিভিন্ন ব্যবসায় অংশীদারিত্ব ছিল কয়লা মাফিয়া রাজুর। এমনকী, দামোদরের বালিঘাটেও দুজনে একসঙ্গে কাজ করতেন বলে সূত্রের খবর।
গাড়ির প্রথম মালিক কে?
শক্তিগড়ে শ্যুটআউটে ব্যবহৃত গাড়ির প্রথম মালিকের হদিশ পেল এবিপি আনন্দ। শক্তিগড়ে শ্যুটআউটে ব্যবহৃত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন পাটুলির বাসিন্দা সোহম চক্রবর্তীর মায়ের নামে রয়েছে। সোহম চক্রবর্তী বলেন, '২০১৭-য় গাড়িটি কিনেছিলাম, ২০২২-এ বিক্রি করে দিই। একটি সংস্থার মাধ্যমে গাড়িটি বিক্রি করেছিলাম, কিন্তু এখনও নাম ট্রান্সফার হয়নি।' সোহম জানান, সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল নাম ট্রান্সফার না হওয়ার পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে না। সেই নাম বদলে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি, দাবি সোহমের। সেই কারণেই এখনও ১০ হাজার টাকা তিনি পাননি। ওই সংস্থার সঙ্গে দাম সংক্রান্ত আলোচনা এবং আরও যাবতীয় কথা মেলের মাধ্য়মে হয়েছে। সেই যাবতীয় তথ্য এবং টাকার লেনদেনের নথি তাঁর কাছে রয়েছে। পুলিশ চাইলে যাবতীয় তথ্য তিনি দিতে পারবেন, জানিয়েছেন পাটুলির বাসিন্দা সোহম চক্রবর্তী। সোহমের আরও দাবি, যে সংস্থাকে তিনি গাড়ি বিক্রি করেছিলেন, তাদের সঙ্গে ডিল হয়েছে, অন্য কেউ গাড়ি কিনলে তাঁর নামে ট্রান্সফার হয়ে যাবে। তাঁর আগে পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নামে গাড়ি থাকবে। অন্য কাউকে গাড়ি বিক্রি করা হয়েছে সে সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি বলে দাবি সোহমের। গোটা বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।