Shamik Bhattacharya : 'নিয়োগ যাতে দ্রুত সম্পূর্ণ হোক, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচানোর স্বার্থে', মানিকের গ্রেফতারিতে প্রতিক্রিয়া শমীকের
Scam : রাজ্য বিজেপির মুখপাত্রের মতে, তদন্ত তদন্তের মতোই এগোবে, কিন্তু রাজ্যের লাখো যোগ্য বেকার ছেলেরা যাতে প্রাপ্য চাকরি পায়, সেটা দ্রুত নিশ্চিত হোক।
কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Teacher Recruitment Scam) গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) গ্রেফতার করে ইডি। আজই আদালতে পেশ করা হবে পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ককে। টানা জিজ্ঞাসাবাদের মাঝে বয়ানে অসঙ্গতি ও সহযোগিতা না করার অভিযোগ মানিক ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে, খবর ইডি সূত্রে।
আর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্য গ্রেফতারের পরই রাজ্য সরকারকে নিশানা করে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার কথা বললেন শমীক ভট্টাচার্য। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্রের মতে, তদন্ত তদন্তের মতোই এগোবে, কিন্তু রাজ্যের লাখো যোগ্য বেকার ছেলেরা যাতে প্রাপ্য চাকরি পায়, সেটা দ্রুত নিশ্চিত হোক।
পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচানোর স্বার্থে
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, 'মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতার হওয়াটা বিনা মেঘে বজ্রপাত নয়। কোর্টের নির্দেশে তদন্ত চলছে, তা নিজস্ব গতিতেই এগোচ্ছে। দুর্নীতিতে প্রত্যেকেরই অভিযোগ ছিল তাঁর দিকে। আপাতত বাড়তি গুরুত্ব পাক নিয়োগ প্রক্রিয়া। যাঁরা দীর্ঘদিন ন্যায্য চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে, তাঁরা ও বাকি যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হোক পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচানোর স্বার্থে। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত। লাখো শিক্ষিত বেকার রাজ্যে। শিক্ষকের অভাবে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়।'
আক্রমণ সুজনেরও
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেছেন, 'এ রাজ্যের লাখো লাখো যুবকের সর্বনাশ করেছেন। স্বাভাবিক ও সংগত কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে গ্রেফতারিতে অনেকটা দেরি হয়ে গেল, অনেক তথ্য হাপিস করেছেন এর মাঝে। জেরার পরে তদন্ত এড়ানোর জন্য পালিয়ে থেকেছেন, লুকিয়ে থেকেছেন। কে অপরাধী সেটা তো সবাই জানত, কিন্তু সব জেনে শুনেও টাকার ভাগের জন্য ফের এমএলএ করা হয়েছে। আসলে যত বড় অপরাধী তত বড় তৃণমূল নেতা।'
পাশাপাশি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়ে সুজন চক্রবর্তীর সংযোজন, 'একা মানিক তো সবটা করেননি, কীভাবে মানিক, সুবীরেশ, শান্তিপ্রসাদরা এই কাজ চালিয়ে গেছেন, লাখ লাখ যুবকের প্রাপ্য চাকরি কেড়ে নিয়ে চোখের জল ফেলতে বাধ্য করেছেন, সেটা জানতে মুখ্যমন্ত্রীকে জেরা করা উচিত।'
আরও পড়ুন- নিয়োগ-দুর্নীতিতে কীভাবে জড়িয়ে মানিকের নাম? কোন প্রশ্নের উত্তর পেতে গ্রেফতার করল ED ?