Sitalkuchi Firing Case:শীতলকুচি গুলিকাণ্ডে নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের হাজিরার নির্দেশ সার্কিট বেঞ্চের
Sitalkuchi Firing Case:কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সাহায্যের দাবিতে মামলা করল শীতলকুচি গুলিকাণ্ডে (Sitalkuchi Firing Case) নিহতদের পরিবার। অভিযুক্ত জওয়ানদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছে তারা
রাজা চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু ভট্টাচার্য, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার: কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সাহায্যের দাবিতে মামলা করল শীতলকুচি গুলিকাণ্ডে (Sitalkuchi Firing Case) নিহতদের পরিবার। অভিযুক্ত জওয়ানদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছে তারা।শুনানিতে কেন্দ্র ও জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিদের হাজির থাকার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ (Jalpaiguri Circuit Bench) ।
শীতলকুচি গুলিকাণ্ডের মামলার শুনানিতে উপস্থিত থাকতে হবে কেন্দ্রীয় সরকার ও জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিদের।নিহতদের পরিবারের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে, শুক্রবার এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ।
সরকারি আইনজীবী বিক্রমাদিত্য ঘোষ বলেছেন, (তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আবেদন ও ক্ষতিপূরণ নিয়ে আবেদন, পরবর্তী বেঞ্চে আবার উঠছে, কেন্দ্র সরকার, জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে মামলায় যুক্ত করা হল মামলায়।
রাজ্য সরকার আর্থিক সাহায্য করলেও, কেন্দ্রীয় সরকার পাশে দাঁড়ায়নি। তাই কেন্দ্রকেও আর্থিক সাহায্য করতে হবে,ব্যবস্থা নিতে হবে গুলি চালানোয় অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে। এই দাবিতে হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলা করেছেন, কোচবিহারের শীতলকুচিতে গুলিকাণ্ডে নিহতদের পরিবার।
মামলাটি উঠেছে বিচারপতি রবি কিষাণ কাপুরের এজলাসে। শুনানি হবে ১৩ ডিসেম্বরের পর।ওই দিন কেন্দ্রীয় সরকার এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
Alipurduar: ঘুম পাড়ানি গুলিতে কাবু ভালুক, আলিপুরদুয়ারের চা বাগানে কাটল আতঙ্ক
গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোট চলার মধ্যেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে শীতলকুচির জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় চারজনের।
সেই ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। ভোটের প্রচারে ঘটনা ঘিরে জোর তরজা শুরু হয়েছিল তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সেই দিনই নির্বাচন কমিশন একটি নির্দেশ জারি করে জানায় যে, আগামী ৭২ ঘণ্টা কোচবিহারে কোনও রাজনৈতিক নেতানেত্রী প্রবেশ করতে পারবেন না। এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে কোচবিহার সফর বাতিল করতে হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্যে পঞ্চম দফা ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচারের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।