TMC : মারধরের পর বল্লম গেঁথে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ বাসন্তীতে
Murder : আততায়ীরা যুব তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। দাবি নিহতের পরিবার ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ যুব তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি।
শান্তনু নস্কর, হিন্দোল দে, বাসন্তী : ক্যানিংয়ের পর বাসন্তী (Basanti)। এবার খুন হলেন এক তৃণমূল কর্মী (TMC)। বাজারে যাওয়ার পথে মারধর ও তারপর বল্লম গেঁথে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আততায়ীরা যুব তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। দাবি নিহতের পরিবার ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ যুব তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি। চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৩ তৃণমূল নেতার পর, এবার এক তৃণমূল কর্মী। দেড় মাসের মধ্যে ফের খুন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়। ক্যানিংয়ের পর এবার বাসন্তীতে। মারধরের পর শরীরে বল্লম গেঁথে খুন করা হল তৃণমূল কর্মী জানে আলম গাজিকে। অভিযোগ উঠেছে গুলি চলারও। ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়।
ভাঙচুর করা হয় যুব তৃণমূল নেতার ভাইয়ের মোটরবাইক।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকালে ভরতগড় বাজারে রেশন আনতে যাচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মী জানে আলম গাজি। অভিযোগ, যুব তৃণমূল নেতা মনিরুল মোল্লার বাড়ির সামনে তাঁর পথ আটকায় কয়েকজন। এরপর যুব তৃণমূল নেতার বাড়ির ভিতরে টেনে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তৃণমূল কর্মীকে। এরপর বুকে বল্লম গেঁথে দেওয়া হয় তাঁর। সেই ধারালো অস্ত্রটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুষ্কৃতীরা শূন্য গুলিও ছোড়ে বলে অভিযোগ। বাসন্তী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, তৃণমূলকর্মীকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয় এক বাসিন্দা ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, 'চেঁচামেচির আওয়াজ পেয়ে বেরিয়ে আসি। ওকে যখন টেনে নিয়ে যাচ্ছে ঘরের মধ্যে, তখন আমি ছাড়াতে যাই। আমাকে ঠেলে দেয়। প্রথমে মনিরুল মোল্লা মাথায় রডের বাড়ি মারে। বুকের মধ্যে বল্লম গেঁথে দেয়। মনিরুলের বাড়ির ছাদ থেকে অন্য একজন গুলি চালায়।' বারুইপুর পুলিশ জেলার তরফে জানানো হয়েছে, খুনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা এখনও পর্যন্ত শরীরে যা পেয়েছি, ধারালো আঘাতের চিহ্ন, গুলির কোনও প্রমাণ পাইনি। তদন্তের পর বোঝা যাবে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, যুব তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, একই অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও। এদিনের হত্যাকাণ্ডের পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসীরা। আর এক যুব তৃণমূল নেতা সইদুল বৈদ্যর ভাইয়ের মোটরবাইক ভাঙচুর করা হয়। নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে হাতিয়ার করে, কোন্দলের অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে বিঁধেছে বিজেপি। যদিও তা মানতে নারাজ, যুব তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি।
গত সাত জুলাই, ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গুলি করে-কুপিয়ে হত্যা করা হয় তিন তৃণমূল নেতাকে। তাঁদের মধ্যে একজনের মুণ্ডচ্ছেদের চেষ্টাও করা হয়। এবার বাসন্তীতে নৃশংসভাবে খুন করা হল তৃণমূল কর্মীকে। চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও যে যুব তৃণমূল নেতার বাড়িতে খুনের অভিযোগ উঠেছে, ঘটনার পর থেকে সেই মনিরুল মোল্লা বেপাত্তা।