Municipal Elections 2022: ভোটের আগে শেষ রবিবার, মহেশতলায় সকাল থেকে জমজমাট প্রচার
Municipal Elections 2022: রবিবাসরীয় ভোট প্রচারে জমজমাট রইল ছুটির দিনের মহেশতলা। তৃণমূল, সিপিএম, বিজেপি বিবদমান সব দলের প্রার্থীরাই এদিন সকাল থেকে ময়দানে নেমে পড়েছেন।
জয়ন্ত রায়, মহেশতলা: আগামী রবিবার রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় ভোট (Municipal Election)। তার আগে আজই শেষ রবিবার। সকাল থেকে প্রচারে ব্যস্ত সব রাজনৈতিক দল (Political Parties)। রবিবাসরীয় ভোট প্রচারে জমজমাট ছুটির দিনের মহেশতলা (Maheshtala)। তৃণমূল (TMC), সিপিএম (CPIM), বিজেপি (BJP) বিবাদমান সব দলের প্রার্থীরাই এদিন সকাল থেকে ময়দানে নেমে পড়েন। কেউ সারলেন বাড়ি বাড়ি প্রচার, কেউ আবার মিছিল করে জনসংযোগ বাড়ালেন। ছুটির দিনে বাড়িতে বেশিরভাগ ভোটারকেই পেয়ে যাওয়ার সুযোগ ছাড়তে চাননি কেউই। প্রচারে বেরিয়ে তাঁরা যথারীতি প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি শুনতে হয়েছে নাগরিকদের নানা অভাব-অভিযোগও।
মহেশতলা পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে বেরিয়েছিলেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল (স্বাস্থ্য) সুকান্ত বেরা। বুড়োশিবতলা, বদ্দিরবাদ এলাকায় মিছিল করে বাড়ি বাড়ি যান তিনি। এলাকার নিকাশি এবং পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে তাঁকে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ শুনতে হয়েছে। তিনি নাগরিকদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, মহেশতলার আক্রা ফটক এলাকায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যায়ে নতুন যে জলপ্রকল্পটি তৈরি হচ্ছে, সেই প্রকল্পটি চালু হয়ে গেলে ৫০ বছরেও পানীয় জলের কোনও সমস্যা আর থাকবে না।
আরও পড়ুন পুরভোটের প্রচারে শিক্ষক সংগঠনকে কাজে লাগানোয় উদ্যোগী তৃণমূল, কটাক্ষ বিজেপির
মহেশতলা পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাটানগরে প্রচারে বেরিয়েছিলেন সিপিএমের এক সময়ের দাপুটে নেতা এবং এই ওয়ার্ডেরই প্রাক্তন কাউন্সিলর রতন বাগচির স্ত্রী চন্দনা বাগচি। এবার এই ওয়ার্ডটি মহিলা সংরক্ষিত। গ্রহণযোগ্য মুখ হিসেবে বামেরা এবার প্রার্থী করেছে চন্দনাকে। চরম ব্যস্ততা এবং প্রচারের ফাঁকেই তিনি জানালেন, ‘বিগত পুরোবোর্ড কোনও কাজই করেনি। মহেশতলায় যা কাজ হয়েছে সবটাই বাম আমলে। সে কথাই মানুষকে বলছি।’
মহেশতলা পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর এলাকায় প্রচারে বেরিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী জবা নস্কর। তিনি একসময় এই ওয়ার্ড থেকেই প্রথমে নির্দল এবং পরে তৃণমূল কাউন্সিলর হন। তিনি এখন দল বদলে গেরুয়া শিবিরে। আজ প্রচারে বেরিয়ে জবা নস্কর দাবি করেছেন, ‘কাউন্সিলর থাকাকালীন আমি এলাকায় যা কাজ করেছিলাম, তারপর আর কিছুই কাজ হয়নি। ফলে ১৫ বছরে এই ওয়ার্ডের মানুষ পিছিয়ে গিয়েছেন। প্রচারে বেরিয়ে বাড়ি বাড়ি যে সাড়া আমি পেয়েছি, তাতে আমি জেতার ব্যাপারে আশাবাদী।’
এখন এটাই দেখার ওয়ার্ডের মানুষ কার ভাগ্য নির্ধারণ করেন।