Kasba College: এক সপ্তাহের উপর পঠনপাঠন বন্ধ থাকার পর, আজ খুলল কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল' কলেজে
South Calcutta Law College: কলেজ খুলতে চেয়ে আবেদন জানানো হয় কলকাতা পুলিশকেও। পুলিশের তরফে চিঠিতে জানানো হয়, কলেজে পঠনপাঠন চালানোর ব্য়াপারে কোনও আপত্তি নেই।

ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা : এক সপ্তাহের উপর পঠনপাঠন বন্ধ থাকার পর, আজ খুলল কসবার ল'কলেজের গেট। ২৫ জুন, ক্য়াম্পাসে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কলেজ। গোটা কলেজ বন্ধ করে রাখা হবে কেন? কেন বন্ধ থাকবে পড়াশোনা? উঠছিল এই প্রশ্ন। এই প্রেক্ষাপটেই জুলাইয়ে পরীক্ষা থাকায় বুধবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ খুলতে চেয়ে আবেদন জানানো হয় কলকাতা পুলিশকেও। পুলিশের তরফে চিঠিতে জানানো হয়, কলেজে পঠনপাঠন চালানোর ব্য়াপারে কোনও আপত্তি নেই।
কসবাকাণ্ডের ১১ দিন পরে অবশেষে খুলল ল'কলেজ. আজ সকাল ৮টায় কলেজ খোলে। কলেজ খুললেও বেশ কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ। আইডি কার্ড ছাড়া কোনও পড়ুয়া কলেজে ঢুকতে পারবে না। সমস্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সকাল আটটা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত কলেজে থাকতে পারবেন। নির্দিষ্ট সময়ের পরে কেউ কলেজে থাকতে পারবে না। কলেজের সামনে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কলেজের গার্ডরুম এবং ইউনিয়ন রুম আগের মতোই বন্ধ আছে। অনুমতি ছাড়া কোনও অফিসিয়াল নথিপত্র, এমপ্লয়ি রেজিস্টার, অ্য়াটেনডেন্স রেজিস্টার নষ্ট করা যাবে না।
গত ২৯ জুন নোটিস দেওয়া হয় কলেজ বন্ধ করার। সাউথ ক্যালকাটা ল' কলেজের গভর্নিং বডির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৩০ জুন থেকে বন্ধ ছিল কসবার এই আইন কলেজ। কসবার এই আইন কলেজেই ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক প্রাক্তনী এবং দুই বর্তমান পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। মূল অভিযুক্ত শাসক দলের ঘনিষ্ঠ বলেও জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই। পেশায় তিনি আইনজীবী। কসবার আইন কলেজের এই ঘটনার প্রতিবাদে দিকে দিকে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। তার মধ্যেই অনির্দিষ্টকালের জন্য সাউথ ক্যালকাটা ল' কলেজের পঠনপাঠন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় কলেজের গভর্নিং বডি। তবে ৭ জুন সোমবার পুনরায় কলেজ খোলা হয়েছে।
২৯ তারিখ কলেজের তরফে নোটিস দেওয়া হয়। সেখানে জানানো হয় বিএ এলএলবি এবং এলএলএম - এইসব কোর্সের পঠনপাঠন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হচ্ছে। এছাড়াও পড়ুয়াদের কলেজ চত্বরে আসতে নিষেধ করা হয়। কলেজের গভর্নিং বডির তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয় সাউথ ক্যালকাটা ল' কলেজের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কসবার আইন কলেজে পরিকল্পনা করেই গণধর্ষণ, প্রাথমিকভাবে তদন্তে ধারনা পুলিশের। নির্যাতিতার বয়ানের সঙ্গে হুবহু মিলছে একের পর এক তথ্যপ্রমাণ। নির্যাতিতার বয়ানের সঙ্গে মিলে গিয়েছে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণও।






















