Sovon Chatterjee: 'শিকড়টি শক্ত ভাবে ধরে থাকা দরকার', মুখ্যমন্ত্রীর থেকে ভাইফোঁটা নেওয়ার পর বললেন শোভন
Bhaifonta At CMs Place:'মমতাদি ও কাননের মধ্যে অন্য কোনও বিশ্লেষণ বাঞ্ছনীয় নয়, অপ্রাসঙ্গিকও বটে', মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ভাইফোঁটা নেওয়ার পর বললেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: 'মমতাদি (mamata banerjee) ও কাননের মধ্যে অন্য কোনও বিশ্লেষণ বাঞ্ছনীয় নয়, অপ্রাসঙ্গিকও বটে', মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ভাইফোঁটা নেওয়ার পর এবিপি আনন্দকে (abp ananda) এক্সক্লুসিভ (exclusive) সাক্ষাৎকারে (tictac) বললেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় (sovon chatterjee) । এদিন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে (baisakhi banerjee) সঙ্গে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি যান শোভন। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা জোরালো হলেও শোভনের বক্তব্য, 'আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূল আছি নাকি নেই, এসব আপনাদের ব্যাখ্যা। সবটাই খাতায় কলমে রয়েছে।' পাশে দাঁড়িয়ে বৈশাখী। তাঁর কথায়, 'শোভন ও তৃণমূল সমর্থক। আমি ওঁকে মমতাদির এক জন কর্মী হিসেবেই দেখি।'
কী বললেন শোভন-বৈশাখী?
'প্রথম যখন কথা হয়েছিল, নিজেকে দিদির একজন কর্মী হিসেবেই পরিচয় দিয়েছিল ও। সেই কর্মীর এখন কী অবস্থান জানি না। কিন্তু আমি জানি, ও তৃণমূলের কর্মী', প্রত্যয়ী দাবি বৈশাখীর। একেবারে একসুর শোভনের। বললেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস একেবারে অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। শিকড়টিকে শক্ত ভাবে ধরে থাকা দরকার। এই বটবৃক্ষ অনেককে ছায়া দিয়ে চলেছে।' শিকড়ের টানে তা হলে কত দূর যাবেন শোভন? স্পষ্ট উত্তর দিলেন না। তবে এটিও জানাতে দ্বিধা করেননি যে তাঁর ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে একটি সামগ্রিক যোগসূত্র রয়েছে। কিন্তু আজ কী কথা হল? সেটা গোপনীয়ই রাখলেন শোভন। শুধু ইঙ্গিতপূর্ণ উত্তর, 'যা কথা হয়েছে তা একান্তই মমতাদি ও কাননের।' এর পর সংযোজন, 'ছোট্ট ছোট্ট পায়ে চলতে চলতে ঠিক পৌঁছে যাব।' কোথায় পৌঁছনোর ইঙ্গিত দিচ্ছেন? আর কিছু খোলসা করেননি আজ। পাশে দাঁড়ানো বৈশাখীর দাবি, 'দিদি ও কানন যখন কথা বলেন, আমি সেখানে থাকি না।' তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর আন্তরিক আতিথেয়তার মুগ্ধ বৈশাখী ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তৃণমূলনেত্রীর প্রাণবন্ততার।
স্মৃতিচারণা...
শোভনের কথায় শুধুই যে রাজনীতির ইঙ্গিত ছিল, তা নয়। জানালেন, দীর্ঘদিন পর মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডা দিয়েছেন। তাঁকে যে ওই পরিবারেরই এক জন মনে করা হত, সে কথা মনে করিয়েছেন। এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াত মায়ের কথাও। কিন্তু ভাইফোঁটায় কি একেবারে খালি হাতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে? বললেন, 'আমার কী আছে? আমি যা দিচ্ছি, ওঁর কাছ থেকে নিয়ে ওঁকেই দিচ্ছি। স্বাভাবিক ভাবেই উপহার বলে কিছু নেই।' বৈশাখীর বক্তব্য, তৃণমূলের সকলের কাছে আজকের দিনটি আনন্দের। অনেকেই জানিয়েছেন, এই দিনটিই তাঁরা দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু খাতায় কলমে কবে দুজন যোগ দিচ্ছেন জোড়াফুলে? স্পষ্ট করেননি দুজনের কেউই। শুধু জানিয়েছেন, দিদি যখন যা নির্দেশ দেবেন, তখন তাই হবে।