SSC Recruitment Scam: সিবিআই হাজিরার পরদিনই ফের SSC ধর্নামঞ্চে ববিতা
Babita Sarkar: ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা হয়েছিল। ২০১৭ সালের ২ মে সেই পরীক্ষার ফল বেরোয়। অভিযোগ, SSC-র প্রথম তালিকায় অঙ্কিতা অধিকারীর নামই ছিল না। ২০ নম্বরে নাম ছিল ববিতার।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: CBI দফতরে হাজিরা দেওয়ার পরদিনই ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে SSC-র আন্দোলনকারীদের মঞ্চে যোগ দিলেন মামলাকারী ববিতা সরকার (Babita Sarkar)। তাঁর দায়ের করা মামলার জেরেই চাকরি গিয়েছে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikary) মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikary)। ববিতা জানান, তাঁর কাছে যে সব তথ্য ছিল, তা বৃহস্পতিবার সিবিআই-কে দিয়ে এসেছেন।
বৃহস্পতিবারই সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করে ববিতাকে
বৃহস্পতিবার সিবিআই দফতরে হাজির হন স্কুল সার্ভিস নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মামলাকারী ববিতা। মামলাকারী ববিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (CBI) আধিকারিকরা। মামলার নথি নিয়ে নিজাম প্যালেসে আইনজীবীর সঙ্গেই হাজির হয়েছিলেন ববিতা। সেখানে তাঁর বয়ান রেকর্ড করে সিবিআই। তার পরই এ দিন ফের আন্দোলনের মঞ্চে হাজির হন তিনি।
২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা হয়েছিল (SSC Recruitment Scam)। ২০১৭ সালের ২ মে সেই পরীক্ষার ফল বেরোয়। অভিযোগ, SSC-র প্রথম তালিকায় অঙ্কিতা অধিকারীর নামই ছিল না। ২০ নম্বরে নাম ছিল ববিতার। এর পর যখন নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয় এসএসসি-র তরফে, তাতে নিজের নাম ২১ নম্বরে দেখতে পান ববিতা।
বিষয়টি চোখে পড়তেই প্রশ্ন জাগে ববিতার মনে। তার পর শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ। বিষয়টি নিয়ে প্রথমে ধর্নামঞ্চের সদস্যদের কাছে যান। সকলকে নিজের র্যাঙ্কিং কার্ড দেখান। এর পর একে একে এসএসসি কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া থেকে তথ্য জানার অধিকার আইনে RTI ফাইল করা, কিছুই বাদ দেননি তিনি। কী ভাবে একধাপ পিছিয়ে গেলেন, কোন বিষয়ে, কত নম্বর পেয়েছেন, তা জানতে এদিক ওদিক যেতে শুরু করেন তিনি।
ববিতার মামলাতেই চাকরি গিয়েছে মন্ত্রিকন্যার
কিন্তু আজও সেই চিঠির উত্তর পাননি বলে জানিয়েছেন ববিতা। তবে লড়াই ছাড়েননি তিনি। সংসার, দুই সন্তান সামলে আইন-আদালতের পাশাপাশি, আন্দোলনেও নিয়মিত অংশ নিয়ে চলেছেন বিগত পাঁচ বছর ধরে। সেই মামলাতেও সম্র্তি সিবিআই দফতরে যেতে হয় পরেশকে। ববিতার মামলার জেরেই স্কুল শিক্ষিকার চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁর মেয়ে অঙ্কিতাকে। দুই কিস্তিতে ৪১ মাসের বেতন ফেরতেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।