SSC Case: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পাস না পাওয়ায় নেতাজি ইন্ডোরের বাইরে চাকরিহারাদের বিক্ষোভ ! কথা-কাটাকাটি
Teachers Agitation: চাকরিহারাদের একাংশ ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে সরাসরি রাজ্য় সরকারের বিরুদ্ধে।

কলকাতা : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পাস না পাওয়ায় নেতাজি ইন্ডোরের বাইরে চাকরিহারাদের বিক্ষোভ । পাস ঘুরপথে বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মীদের একাংশের। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বাধা দিলে বচসা বাধে। চাকরিহারাদের দাবি, ২৬ হাজারের চাকরি গেছে। কোথাও যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন করা যায়নি। তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসার ক্ষেত্রে বিভাজন কেন? প্রশ্ন বিক্ষোভকারীদের। মুখ্যমন্ত্রী বলেননি, পাস নিয়ে ঢুকতে হবে, তাহলে কেন পুলিশ আটকাচ্ছে ? প্রশ্ন চাকরিহারাদের।
রাত থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে আসা চাকরিহারাদের এদিন ভিড় দেখা যায় শহিদ মিনার চত্বরে। অভিযোগ, আজ ভোরে কয়েকজন সেখানে এসে নিজেদের চাকরিহারা বলে দাবি করেন। তাঁরা চাকরিহারাদের কাছে বৈঠকে যাওয়ার পাস চান বলে অভিযোগ। পাস দিতে না চাওয়ায় বচসা বাধে, বৈঠকের পাস ছিনতাই করার চেষ্টাও হয় বলে অভিযোগ। চাকরিহারাদের একাংশের দাবি, অযোগ্যরাই এভাবে গন্ডগোল পাকিয়ে বৈঠক বানচাল করতে চাইছে। বৈঠকের পাস পাওয়াকে কেন্দ্র করে তুমুল গন্ডগোল শুরু হয়ে যায়। কে যোগ্য, কে অযোগ্য, এই নিয়ে চলে বাগ্বিতণ্ডা। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও বেঁধে যায়।
নিয়োগে ব্য়াপক দুর্নীতির জন্য়, স্কুলে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। যার মধ্য়ে অযোগ্য়দের পাশাপাশি রয়েছেন বহু যোগ্য় প্রার্থী। একমাত্র সম্বল চাকরিটা রাতারাতি হারিয়ে, পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে এই তরুণ-তরুণীদের।
বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, SSC কি এই চোখের জলের দায় এড়াতে পারে? রাজ্য় সরকার কি দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারে ?চাকরিহারাদের একাংশ ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে সরাসরি রাজ্য় সরকারের বিরুদ্ধে।
এই প্রেক্ষাপটে আজ, সোমবার চাকরিহারাদের সংগঠনের সভায় আসছেন মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, আমি তাঁদের কথায় সাড়া দিয়ে, ৭ তারিখে (৭ এপ্রিল) তাঁরা ইন্ডোর স্টেডিয়াম বুক করেছেন। ৭ তারিখ(৭ এপ্রিল), ১২টা ১৫ নাগাদ তাঁদের কাছে যাব। তাঁদের কথা শুনব।
তবে এই কর্মসূচির আগের দিনও হুঁশিয়ারির সুর শোনা গেছে চাকরিহারাদের গলায়। চিন্ময় মণ্ডল নামে চাকরিহারা বলেন, "আমরা যদি দেখি কোনও অযোগ্যকে চিহ্নিত করি, ওখানে তাহলে আমরা কিন্তু ঝামেলা করব ওখানেই। বয়কট করব। অবৈধদের বাতিল করলে এই সমস্যা হত না।"
মেহবুব মণ্ডল নামে এক চাকরিহারা বলেন, "আমাদের জন্য রাজ্য সরকার কম দায়ী নয়। কীভাবে বাঁচাবেন আপনি বুঝুন। সেটাই বলতে যাব।"






















