Joyngar Incident: ঘরছাড়া গ্রামবাসীদের ফেরার পথে 'বাধা', জয়নগরে সুজন চক্রবর্তীদেরও আটকানোর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
Left Leaders Stopped Resistance:গত কালের তুমুল অশান্তির পর জয়নগরে আজ, ঘরছাড়া গ্রামবাসীরা ফিরে আসতে চেয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আসেন সুজন চক্রবর্তী-সহ সিপিএম নেতৃত্ব।
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, জয়নগর: গত কালের তুমুল অশান্তির পর জয়নগরে (Joynagar Incident) আজ, ঘরছাড়া গ্রামবাসীরা ফিরে আসতে চেয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আসেন সুজন চক্রবর্তী-সহ (Sujan Chakrabarty Stopped at Joynagar) সিপিএম নেতৃত্ব। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ (Police In Joynagar Incident) তাঁদের ফিরতে বাধা দিয়েছে। আটকানো হয় সিপিএম নেতৃত্বকেও। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের প্রশ্ন, 'আমাদের আটকানো হচ্ছে কেন?'
যা ঘটল...
গত কাল জয়নগরের দাপুটে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের অভিযোগ ওঠার পর থেকে তুলকালাম শুরু হয়। অভিযোগ, পাল্টা হিসেবে দলুয়াখাকি গ্রামে বেছে বেছে সিপিএম কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়, আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় নির্মম ভাবে। সেই ঘটনায় অন্তত ২৫ থেকে ৩০টি পরিবার ঘরছাড়া হয়েছিল বলে সিপিএম সূত্রে খবর। তাঁরা দলীয় দফতরে আশ্রয় নেন। আজ, মঙ্গলবার, সেই ঘরছাড়া গ্রামবাসীদের বাড়ি ফিরিয়ে দেবেন বলেই সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো বর্ষীয়ান সিপিএম নেতারা এসেছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, সিপিএম নেতারা গ্রামের ভিতর গেলে অশান্তি হতে পারে এই যুক্তিতে সুজনদের আটকে দেওয়া হয়। তা হলে গ্রামবাসীদের আটকানো হল কোন যুক্তিতে? এই নিয়ে পুলিশকে প্রশ্ন করা হলে তাঁদের সটান উত্তর, ' ওঁদের আটকানো হয়নি।' সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় যে ছবি ধরা পড়েছে, তা অবশ্য অন্য কথা বলছে। সে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পুলিশ আধিকারিকের এক জবাব, ' ওঁদের আটকানো হয়নি।' সঙ্গে সংযোজন, 'ওঁদের নিশ্চিত ভাবে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে।' কিন্তু এখনই কেন নয়? উত্তর নেই। অভিযোগ রয়েছে আরও। ঘরছাড়া পরিবারগুলি যে আজ ফেরার চেষ্টা করবেন, সে কথা জানা সত্ত্বেও কেন কোনও মহিলা পুলিশকর্মী ছিল না? এরও কোনও উত্তর দেয়নি প্রশাসন। এদিকে বিক্ষুব্ধ মহিলাদের অভিযোগ, 'এক জনও মহিলা পুলিশকর্মী ছিলেন না। আমাদের ঠেলে সরিয়েছেন পুরুষ পুলিশকর্মীরাই।' সব মিলিয়ে তুমুল অশান্তি।
ক্ষতির জের...
গত কালের অশান্তিতে দলুয়াখাকি গ্রামের অনেকেরই ঘর-বাড়ি প্রায় কিছু আস্ত নেই। এক মহিলা কার্যত বিলাপের সুরে বললেন, 'আমার কল-কারখানা ছিল। ধানের গোলা.. সব জ্বালিয়ে দিয়েছে।...বাচ্চাদের খাওয়া নেই, সেই দেখতেই যাচ্ছিলাম। যদি কিছু ব্যবস্থা করা যায়।' ঘরে ফেরার জন্য যাঁরা এসেছিলেন, সকলের মনের কোণে ওই একচিলতে আশাই সম্বল। পোড়া, ভাঙা, লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া সব কিছু থেকেও সামান্য কিছু যদি পাওয়া যায়। কিন্তু গ্রামে ঢোকার পথেই বাধার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। ক্ষুব্ধ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'পুলিশ অপরাধীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে, আড়াল করছে, গ্রামে যেতে দিচ্ছে না।' কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, সুজন চক্রবর্তীদের সঙ্গে রীতিমতো বচসা, ধাক্কাধাক্কি হয় পুলিশ আধিকারিকদের।
আরও পড়ুন:'আমি মন্ত্রী, আমি এই সেলে থাকব?' অসুস্থ দাবি করে SSKM-এ ভর্তির বায়না জ্যোতিপ্রিয়র