(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Sujan Chakraborty : 'মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক, ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা?' হাঁসখালিকাণ্ডে মন্তব্য সুজন চক্রবর্তীর
Sujan Chakraborty attacks Mamata Banerjee over Hanskhali Incident : তাঁর প্রশ্ন, 'হাসপাতালে চিকিৎসা হল না, ময়নাতদন্ত হল না, পুড়িয়ে দেওয়া হল কী করে?
কলকাতা : হাঁসখালিকাণ্ড (Hanskhali Incident) নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক।' পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন, 'হাসপাতালে চিকিৎসা হল না, ময়নাতদন্ত হল না, পুড়িয়ে দেওয়া হল কী করে? অভিযুক্ত তৃণমূলের বলে কী ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা?'
সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বলেছেন, 'হাঁসখালিকাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। মেয়েটির কারোর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কি না, সে অন্তঃস্বত্ত্বা হয়েছিল কি না এগুলো আসল প্রশ্ন নয়। আসল প্রশ্ন হল কম বয়সী একটি মেয়েকে ধর্ষিত হতে হল। তাকে পুড়িয়ে মারা হল। হাসপাতালে চিকিৎসা হল না। থানার তরফে ময়নাতদন্তের করানোরও ব্যবস্থা হল না। তাহলে মেয়েটি পুড়ে গেল কিকরে। রাজত্ব তো মুখ্যমন্ত্রীর। উনিই তো বলছেন রাজ্যের সবাই তৃণমূল। জড়িতও তৃণমূলের নেতার ছেলে, তাই জন্যই কি তিন-চারদিন ধরে এরকম মারাত্মক ঘটনার পরও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলল?'
হাঁসখালিকাণ্ডে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেছেন, ‘ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু লাভ অ্যাফেয়ার্স ছিল কিনা, দেখতে হবে। শুনেছি দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।’ পাশাপাশি ঘটনায় রাজ্যের শাসক দল জড়িয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তোপ দেগে তৃণমূল সুপ্রিমোর সংযোজন, ‘তৃণমূলকে টানার কী দরকার? সবাই তো তৃণমূল। ছেলেটার বাবা তৃণমূল করে তো কি হয়েছে, রং না দেখে গ্রেফতার হয়েছে।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোজন, 'ঘটনাটা খারাপ, কিন্তু গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু প্রথমেই কেন থানায় রিপোর্ট করা হয়নি? না জানিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হল কেন? শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনকে মামলাটি দেখতে বলব, তদন্তের পরে কেসটা কি ছিল, সেটা আমরা জানাব।'
কী ঘটেছে হাঁসখালিতে
নদিয়ার হাঁসখালিতে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বেশ কিছু দিন পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেই তথ্য সামনে আসে। পাশাপাশি নাবালিকার মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তের আগেই ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মতোও মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। যে ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে। গণধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। আগামীকাল যা শুনানির সম্ভাবনা।