Suvendu Adhikari : ' ভোট দিতে না পারলে জাতীয় সড়ক অবরোধ করুন ' চাকদায় হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari Update : ' ফাঁকা আওয়াজ, মস্তানের মতো কথা বলেন, বিধানসভা ভোটের সময় বলেছেন, তাই আমরা আওয়াজ দিচ্ছি না।' পাল্টা হুঁশিয়ারি
সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২১ ওয়ার্ডের চাকদা পুরসভায় ( Municipality Election ) ভোট । তার আগে , শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) প্রচার ঘিরে ফের অশান্তি ! পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির পর এবার নদিয়ার চাকদা। পুলিশের সঙ্গে তুমুল কথা কাটাকাটিতে জড়ালেন বিরোধী দলনেতা।
পুরভোটের প্রচারে জনসভার অনুমতি মেলেনি পুর এলাকায়। এই অভিযোগে চাকদায় পুলিশের সঙ্গে তুমুল বাকবিতণ্ডায় জড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রশাসন তার কাজ করেছে, দাবি তৃণমূলের। মন্তব্য করতে চাননি চাকদা থানার আইসি। বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে সোমবার চাকদা বাসস্ট্যান্ডে জনসভা করেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন :
শিলিগুড়িতে ইভিএম কারচুপি করে ভোটে জিতেছে তৃণমূল, দাবি বিজেপি বিধায়কের
অশান্তি এড়াতে আগে থেকেই মোতায়েন ছিল প্রচুর পুলিশ। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ, পুরসভার ভোট হলেও পুর এলাকায় তাদের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। চাকদা বাসস্ট্যান্ড, তাতলা ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে। আর প্রচার শেষে এই নিয়েই চাকদা থানার আইসি-র সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশ তাঁর গায়ে হাত দিয়েছে বলেও, অভিযোগ করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। বিজেপি যুব মোর্চা সভাপতি (নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা) ভাস্কর ঘোষ বলেন,' আমাদের পুরসভা মিটিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়নি। পঞ্চায়েত এলাকায় দেওয়া হয়েছে। তার জন্য বিরোধী দলনেতা পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে গেলে প্রশাসন বাধা দেয় '
পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ানোর আগে, ভোট লুঠের অভিযোগে তৃণমূলের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা। ভোট দিতে না পারলে, দলীয় কর্মীদের জাতীয় সড়ক অবরোধের নির্দেশ দেন তিনি। যদিও বিজেপি নেতা এই হুঁশিয়ারিকে ' ফাঁকা আওয়াজ' বলে কটাক্ষ করেন। ' ফাঁকা আওয়াজ, মস্তানের মতো কথা বলেন, বিধানসভা ভোটের সময় বলেছেন, তাই আমরা আওয়াজ দিচ্ছি না। '
অন্যদিকে গতকালই হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি ও বাড়ির বাইরে ইচ্ছেমতো সিসি ক্যামেরা লাগানো যাবে না। পুলিশ নিজের ইচ্ছামতো ক্যামেরা লাগাতে পারবে না। শুভেন্দু অধিকারী যেখানে বলবেন, সেখানেই ক্যামেরা লাগাতে হবে। শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলায় নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।