Sandeshkhali: "তৃণমূলকে নিষিদ্ধ করে জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করা হোক", বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর
Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় তৃণমূলকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে তাদের নিষিদ্ধ করার দাবি জানালেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কলকাতা: শুক্রবার সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় বিস্ফোরক দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার পাশাপাশি তৃণমূলকে নিষিদ্ধ করে জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করার দাবি জানালেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, "সন্দেশখালির ঘটনায় মূল দায়ী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি তৃণমূলকে নিষিদ্ধ করে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা উচিত।"
সন্দেশখালিতে পুলিশই অস্ত্র ঢুকিয়েছে বলেও শুক্রবার বিকেলে নির্বাচনী জনসভা করতে গিয়ে অভিযোগ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিস্ফোরক এই অভিযোগ করে তিনি বলেন, "সন্দেশখালির এক পুলিশ অফিসার ও বসিরহাটের পুলিশ সুপার মেহেদি হাসানের সহযোগিতায় এই অস্ত্রগুলো ঢুকিয়েছে। ওই জন্য দেখবেন সন্দেশখালিতে যে অস্ত্রগুলো উদ্ধার হয়েছে সেগুলো চিনে তৈরি। বাংলাদেশের সাতক্ষীরা থেকে প্রচুর অস্ত্র সন্দেশখালিতে ঢুকিয়েছে শেখ শাহজাহান। পুলিশের সাহায্য়েই এই কাজ করেছে সে। তবে শুধু ওখানেই নয় এই ধরনের অস্ত্র পাওয়া যাবে মিনাখাঁতে আয়ুব গাজির কাছে, বাসন্তীতে রাজা গাজির কাছে। শওকত মোল্লার জীবনতলাতে গেলেও পাবেন আর ফলতাতে গেলে জাহাঙ্গীরের কাছে পাবেন।"
সোজাসুজি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলে শুভেন্দু আরও বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫৪ দিন ধরে শেখ শাহজাহানকে লুকিয়ে রেখেছিল। আর বসিরহাটের পুলিশ সুপার মেহেদি হাসান, সুপ্রতিম সরকার এবং এসডিপিও আমিনুলকে গ্রেফতার করা উচিত। ওরাই শাহজাহানকে অস্ত্র ঢোকাতে সাহায্য করেছিল। সন্দেশখালিতে উদ্ধার হওয়া বেশিরভাগ অস্ত্রই বিদেশি। ওখানে আরডিএক্সও লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। অবিলম্বে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।"
আরও পড়ুন: Sandeshkhali Update: অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্য়বহার, রোবট এনে তল্লাশি শুরু সন্দেশখালিতে
শুক্রবার সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় তৃণমূল নেতার আত্মীয়ের বন্ধ বাড়িতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অভিযানে মেলে প্রচুর বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ ও বোমা। CBI সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই এদিন সরবেড়িয়ায় আবু তালেব মোল্লার বাড়িতে হানা দেয় ৫টি দল। ভেড়ি দিয়ে ঘেরা বাড়ি তালাবন্ধ ছিল। বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগও ছিল না। বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু করে সিবিআই।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।