Suvendu on Dhupguri: 'উপনির্বাচন কোনও ভোট নয়, ভোট হবে ২০২৪-এ..', TMC-কে নিশানা শুভেন্দুর
Suvendu Attacks Dhupguri TMC: ধূপগুড়িতে তৃণমূলের জয়ের পর ইতিমধ্যেই ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে বিজেপির একাংশ, শাসকদলকে আক্রমণ করে এদিন কী বললেন শুভেন্দু ?
হাওড়া: ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে (Dhupguri By Election 2023) সবুজ ঝড়ের পর কার্যত নানা ক্ষোভের আগুন নিয়ে ফুঁসছে বিজেপির একাংশ। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি নেতাদের বিতর্কিত পোস্টে তার আঁচ পাওয়া গিয়েছে। আর এই আঙ্গিকেই এবার হাওড়া সদরের বাঁধাঘাট মোড়ে বিজেপির জনসভায় শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
'উপনির্বাচন কোনও ভোট নয়, ভোট হবে ২০২৪-এ..'
প্রসঙ্গত, ধূপগুড়িতে বিজেপিকে হারিয়ে ৪ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। কার্যতই একে পঞ্চায়েত ভোট, তার উপর ধূপগুড়িতে সবুজ ঝড়ের পর 'বিজেপি ধূপগুড়ি মহকুমা চায় না বলে মিথ্য়ে প্রচার করেছে তৃণমূল। ৪ হাজার ভোটে জিতে ভাবছেন বিজেপি হামাগুড়ি দিচ্ছে ! পঞ্চায়েত ভোট বা উপনির্বাচন কোনও ভোট নয়। ভোট তো হবে ২০২৪-এ, একসঙ্গে ভোট হলে তার আগেই সরকার পড়ে যাবে। ২০২৪-এর ভোটের আগে জোট বাঁধুন।'
ধূপগুড়িতে শেষ হাসি তৃণমূলের
২০২১-এর নির্বাচনে, এই কেন্দ্রটি দখল করেছিল বিজেপি। তবে এবার পট বদল। ১৯৭৭-এ যেবার বামফ্রন্ট প্রথম রাজ্যের ক্ষমতায় এল, সেই তখন থেকেই ধূপগুড়ি বিধানসভা ছিল বামেদের দখলে। ২০১৬-তে প্রথমবার বামেদের হারিয়ে এই কেন্দ্রে জয়ী হন তৃণমূলের মিতালি রায়। তবে ২০১৯-এ উত্তরবঙ্গের নির্বাচনী সমীকরণ বদলে দেয় বিজেপি।গেরুয়া ব্রিগেডের দখলেই যায় জলপাইগুড়ি লোকসভা। যার ৭টি বিধানসভার একটি হল ধূপগুড়ি। এই কেন্দ্রে ১৭ হাজার ৭৬৬ ভোটে এগিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়। এর ২ বছর পরে, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলেরই মিতালি রায়কে হারিয়ে ধূপগুড়ি বিধানসভা দখল করেন বিজেপির বিষ্ণুপদ রায়। তবে লোকসভার লিড অনেকটাই কমে যায়। জয়ের ব্যবধান নেমে আসে ৪ হাজার ৩৫৫-তে। তারপর ২ বছরের ব্যবধান। বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুতে এবার উপনির্বাচন হয় ধূপগুড়িতে। শেষ হাসি হাসে তৃণমূল।
আরও পড়ুন, ধূপগুড়িতে হারের পর BJP-র অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, বিস্ফোরক পোস্ট বিজেপি নেতার
নিচুতলার কমরেডরা আমাদের সঙ্গে চলে আসুন : শুভেন্দু
ধূপগুড়ির হারের কার্যতই জেলায় বিজেপির একাংশের মধ্যে সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। এদিকে দিল্লিতে যতই দোস্তি হোক না কেন, শাসকদলের বাম-কংগ্রেসের কুস্তির উদাহরণ বিরোধী জোটে প্রভাব ফেলত একাধিকবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে মোদি থেকে শুরু করে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব। এমন এক আবহে এদিন হাওড়ার সভায় শুভেন্দুর বক্তব্যে মাস্টারস্ট্রোক। 'তৃণমূলকে চোর বলে কংগ্রেস-সিপিএম, কিন্তু কী করলেন?'প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতার। শুভেন্দুর সংযোজন, 'বাংলায় যাতে তৃণমূল চুরি করতে পারে, সেই কাজটাই সেলিমরা করছেন। নিচুতলার কমরেডরা আমাদের সঙ্গে চলে আসুন। বাংলাকে বাঁচাতে চাইলে 'নো ভোট টু মমতা' বলুন'।