Tapan Kandu Murder Case: বগটুইয়ে হলে ঝালদায় সিবিআই নয় কেন, রাজ্য আদালতে যেতেই প্রশ্ন তপন কান্দুর স্ত্রীর
Jhalda Murder Case: রাজ্য সরকার ঝালদাকাণ্ডে (Jhalda Muder Case) সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে।

অর্ণব মুখোপাধ্যায়, পুরুলিয়া: তপন কান্দু খুনের (Tapan Kandu Murder Case) ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে রাজ্য। তা নিয়ে এ বার অসন্তোষ প্রকাশ করলেন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু (Purnima Kandu)। তাঁর প্রশ্ন, সিবিআই (CBI) তদন্তে কেন বাধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার? বগটুইকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত নিয়ে রাজ্য সরকার বাধা দেয়নি। তাহলে ঝালদার ঘটনায় কেন রাজ্য নাক গলাচ্ছে, প্রশ্ন তুললেন তিনি।
ঝালদার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে রাজ্য
রাজ্য সরকার ঝালদাকাণ্ডে (Jhalda Muder Case) সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে, এই খবর সামনে আসার পরই সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পূর্ণিমা কান্দু। তাঁর প্রশ্ন, যেহেতু তাঁর স্বামী কংগ্রেস করতেন, তাই কি ঘটনা ধামাচাপা দিতেই সরকারের এই পদক্ষেপ? ঘটনায় অভিযুক্তদের আড়াল করতেই কি সিবিআই তদন্তে বাধা দিচ্ছে সরকার, এই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
এ দিকে বুধবারই নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের প্রধান সাক্ষী এবং প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁর বাড়ি থেকে। তা নিয়েও নতুন করে কাঠগড়ায় পুলিশ। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। কারণ নিরঞ্জন সুইসাইড নোটে পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থার কথা লিখে গিয়েছেন যে, লাগাতার তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন নিজের শেষ চিঠিতে।
রহস্য মৃত্যু তপনের সহযোগী নিরঞ্জনেরও
গত ১৩ মার্চ ঘুরতে বেরিয়ে খুন হন পুরুলিয়ার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বন্ধু নিরঞ্জন। বুধবার রহস্যজনকভাবে বাড়ি থেকে তাঁরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয় সুইসাইড নোটও।স্থানীয়দের দাবি, মঙ্গলবার রাতে বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের অন্যতম প্রধাম সাক্ষী নিরঞ্জন। বুধবার ভোরে বাড়ি ফেরেন। তার পর ঘর থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
নিরঞ্জনের রহস্য মৃত্যু নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পূর্ণিমা। তিনি বলেন, “যখন আমার স্বামীর ঘটনা ঘটে, তখন উনিও সঙ্গে ছিলেন। হঠাৎ করে আত্মহত্যা করলেন কেন? নিশ্চই রহস্য আছে...হয়ত কেউ চাপ দিয়েছে। আমার স্বামীর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কিছু জানতেন হয়ত। কালকেও এসেছিলেন। হঠাৎ আত্মহত্যা করলেন কেন?”
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
