Recruitment Scam:নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যর ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে তলব ইডি-র
Tapas Mandal Summoned: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যর ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে তলব করল ইডি। তাঁকে আগামী ২০ অক্টোবর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন তদন্তকারীরা।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি (recruitment scam) মামলায় মানিক ভট্টাচার্যর (manik bhattacharya) ঘনিষ্ঠ (close aide) তাপস মণ্ডলকে (tapas mandal) তলব (summon) করল ইডি (ED)। তাঁকে আগামী ২০ অক্টোবর সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, তাপসের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথিও আনতে বলা হয়েছে। গত কাল তাপসের ছেলে জানিয়েছিলেন, বাবা বাইরে রয়েছেন। তবে ইডি ডাকলে হাজির হবেন। সূত্রের খবর, তাপসের বারাসাতের বাড়িতে প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে দুটি মোবাইল ফোন, একটি হার্ড ডিস্ক, ২টি পেন ড্রাইভ ও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি ও জমির দলিল উদ্ধার হয়। তদন্তকারীদের ধারণা, মোবাইলে গুরুত্বপূর্ণ চ্যাট থাকতে পারে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি, পরীক্ষার জন্য CFSL ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে হার্ড ডিস্ক।
কী কী জানা গেল?
গত কাল তাপসের একাধিক বাড়িতে ইডির তল্লাশি অভিযান চলে। সূত্রের খবর, সেখান থেকে পাওয়া একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, তাঁর একাধিক সংস্থার ব্যাঙ্ক ডিটেলস, আয়-ব্যয়ের হিসেবও আগামী ২০ অক্টোবর আনতে বলা হয়েছে। তদন্তকারীদের একাংশ জানাচ্ছেন, মোবাইল থেকে একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট উড়িয়ে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। সেগুলি 'রিট্রিভ' করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে খবর। প্রসঙ্গত মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই তাপসের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। তাঁর একাধিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। ইডি-র নজরে রয়েছে সেগুলি। এর মধ্যে একটি 'মিনার্ভা এডুকেশন সোসাইটি', দ্বিতীয়টি 'অ্যাম্বিশেন স্টাডি সেন্টার'। এই দুটি সংস্থার একাধিক দফতরে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। সেগুলিরই আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথি আনতে বলা হয়েছে তাপস মণ্ডলকে, খবর ইডি সূত্রে।
হালেই গ্রেফতার মানিক....
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দিনপাঁচেক আগেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে ইডি। বয়ানে অসঙ্গতি ও সহযোগিতা না করার অভিযোগ মানিক ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে, খবর ইডি সূত্রের। তদন্তকারীদের তরফে দাবি করা হচ্ছে, তথ্যপ্রমাণ দেখানোর পরেও তিনি বিভ্রান্ত করছিলেন। তথ্য গোপন করার চেষ্টা করছিলেন। তার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবীদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ আছে। তা সত্ত্বেও কীভাবে তাঁকে গ্রেফতার করা হল ? যদিও ইডি-র অফিসারদের যুক্তি, সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ শুধুমাত্র সিবিআইয়ের মামলায় রয়েছে।
আরও পড়ুন:গ্রামে ফিরতেই তৃণমূল নেতাকে গুলি ! নদিয়ার থানারপাড়ার ঘটনায় গ্রেফতার ৯