Shahid Minar: শহিদ মিনারে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেতমজুর সমিতির অবস্থান-বিক্ষোভের অনুমতি দিল না সেনাবাহিনী
লাগাতার ১২ দিন অবস্থান-বিক্ষোভের অনুমতি দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। সেনা অনুমতি দিলেই তবেই করা যাবে অবস্থান-বিক্ষোভ, জানিয়েছিলেন বিচারপতি।
কলকাতা: আদালত অনুমতি দিলেও শহিদ মিনারে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) ক্ষেতমজুর সমিতির অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দিল না সেনাবাহিনী। সেনার তরফে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এমনটাই জানালেন আইনজীবী। বকেয়া বেতন ও স্থায়ীকরণের দাবিতে শহিদ মিনারে অবস্থান-বিক্ষোভের অনুমতি দেয় হাইকোর্ট। লাগাতার ১২ দিন অবস্থান-বিক্ষোভের অনুমতি দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। সেনা অনুমতি দিলেই তবেই করা যাবে অবস্থান-বিক্ষোভ, জানিয়েছিলেন বিচারপতি। শহিদ মিনারে অবস্থান-বিক্ষোভ করা যাবে না, জানানো হল সেনার তরফে।
অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট: পশ্চিমবঙ্গ খেতমজুর সমিতি সহ বাকি মামলাকারী সংগঠনকে শহিদ মিনারে অবস্থানের অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবে এক্ষেত্রে লাগবে সেনাবাহিনীর ছাড়পত্র যে লাগবে সকথাও জানানো হয়েছিল । হাইকোর্টের তরফে বলা হয় সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত অবস্থান করা যাবে । রাতে শুধুমাত্র ১৫ জন আন্দোলনকারী থাকতে পারবেন অবস্থান মঞ্চে। বকেয়া বেতন ও স্থায়ীকরণের দাবিতে শ্রমিক সংগঠনগুলির এই অবস্থান-কর্মসূচি।
জমি সেনাবাহিনীর: বকেয়া বেতন ও স্থায়ীকরণের দাবি পশ্চিমবঙ্গ খেতমজুর সমিতি সহ বাকি মামলাকারী সংগঠনকে শহিদ মিনারে অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তবে, এক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর অনুমতি পেলে, তবেই মিলবে চূড়ান্ত ছাড়পত্র, পাশাপাশিএ কথাও বলা হয়েছিল । National Rural Employment Guarantee Act সংক্ষেপে NREGA (এনরেগা) প্রকল্পের অধীনে কর্মরত এই শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ, NREGA - র লোগো দীর্ঘ ১৬ মাস ধরে তাঁদের বেতন বন্ধ রয়েছে ।
স্থায়ীকরণেরও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। পুলিশের কাছে অবস্থানের অনুমতি জানানো হলেও তা খারিজ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পশ্চিমবঙ্গ খেতমজুর সমিতি সহ বাকি সংগঠনের কর্মীরা। ১২ দিন ধরে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট । কিন্তু যেহেতু ওই জমি সেনার। তাই সেনাবাহিনী অনুমতি না মেলায় অবস্থানে বসতে পারবেন না মামলাকারীরা।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত অবস্থান করা যাবে। রাতে শুধুমাত্র ১৫ জন আন্দোলনকারী থাকতে পারবেন অবস্থান মঞ্চে। প্রাথমিকভাবে, কলকাতা পুরসভার পাশেই অবস্থানে বসার অনুমতি চেয়েছিলেন মামলাকারীরা। সেই আবেদনে মান্যতা দেয়নি আদালত। বিচারপতির নির্দেশ, আদালত ও পুলিশের দেওয়া শর্ত মেনে করতে হবে আন্দোলন।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: বাংলায় নিষিদ্ধ 'দ্য কেরালা স্টোরি', আদালতে মামলা দায়েরের আবেদন