![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Child Death: অ্যাডিনো আতঙ্ক বাড়ছে শহরে, ফের ১ শিশুর মৃত্যু
Child Death Again: আজ ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ বিসি রায় হাসপাতালে অসুস্থ শিশুর মৃত্যু। বাইপাস সংলগ্ন আনন্দপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ওই শিশু ভুগছিল জ্বর-শ্বাসকষ্টে।
![Child Death: অ্যাডিনো আতঙ্ক বাড়ছে শহরে, ফের ১ শিশুর মৃত্যু The death of one more child among the terror over adeno virus Child Death: অ্যাডিনো আতঙ্ক বাড়ছে শহরে, ফের ১ শিশুর মৃত্যু](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/02/23/a5f3b29858d6cc5ae708022ebf851bbb1677164149937109_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: অ্যাডিনো (Adenovirus) নিয়ে আতঙ্কের আবহে আরও ১ শিশুর মৃত্যু (Child Death)। আজ ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ বিসি রায় হাসপাতালে (BC Roy Hospital) অসুস্থ শিশুর মৃত্যু। বাইপাস (Bypass) সংলগ্ন আনন্দপুর থানা (Anandapur Police) এলাকার বাসিন্দা ওই শিশু ভুগছিল জ্বর-শ্বাসকষ্টে। ১৫ তারিখ থেকে ওই শিশু ভর্তি ছিল হাসপাতালে। এই নিয়ে গত জানুয়ারি থেকে ৯৬ শিশুর মৃত্য়ু।
একের পর এক মৃত্যু। একের পর এক মায়ের কোল খালি। জীবন-যুদ্ধে হেরে যাচ্ছে খুদেরা। রাজ্য জুড়ে মারণ থাবা বসিয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস। বি সি রায় হাসপাতাল সূত্রের খবর, ভয়াবহ অ্যাডিনো-আতঙ্কের মধ্যে রবিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত মাত্র ১৩ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭ শিশুর। মঙ্গলবার জ্বর, নিউমোনিয়া থাকায় বি সি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বনগাঁ মালঞ্চর বাসিন্দা চারমাসের শিশুকে। ভেন্টিলেশনে থাকাকালীন রবিবার ভোর ৪টে নাগাদ তার মৃত্যু হয়। একইসঙ্গে সকাল ৬টা নাগাদ বি সি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয় মেটিয়াবুরুজের বাসিন্দা ১ বছর ৭ মাসের শিশুকন্যার। জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৮ দিন ধরে ভর্তি ছিল ওই শিশু।
অন্যদিকে, দেগঙ্গার বাসিন্দা আড়াই মাস বয়সী শিশুকন্যা সোমবার থেকে বি সি রায় হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি ছিল। দুপুর ১টা নাগাদ তার মৃত্যুু হয়। এছাড়াও মৃত্যু হয়েছে দেগঙ্গা, বসিরহাটের বাসিন্দা দুই শিশুর। গোবরডাঙার বাসিন্দা এক ৬ মাসের শিশুকন্যারও এদিন মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে।
আরও পড়ুন, দেশ জুড়ে ফ্লু আতঙ্ক, সর্দি-কাশিতে ডাক্তারদের অ্যান্টিবায়োটিক না দেওয়ার উপদেশ IMA র, কিন্তু কেন !
এই পরিস্থিতিতে শনিবার হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে মেজাজ হারান স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী। সাংবাদিকদের ছবি তুলতে নিষেধ করেন তিনি। শিশু মৃত্যু নিয়ে খবর করাতেও আপত্তি জানান স্বাস্থ্য অধিকর্তা। পরে তিনি দাবি করেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আমি কিন্তু কোনও হাসপাতালেও যাই না, অনুমতি ছাড়া। আমরা মাইক নিয়ে চলে যাচ্ছেন, তাতেও তো ভাইরাস ঢুকছে। হাসপাতালে একটি প্ল্যাটফর্ম করে দেওয়া হবে, খবর জানার অধিকার আছে। কিন্তু দয়া করে ভিতরে ঢুকবেন না। কারণ এতে ভাইরাস ঢুকে যায়। কারণ আপনাদের অনেক জায়গায় যেতে হয়।
এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, শিশু মৃত্যুর ব্যাপারে এই সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে না। জনরোষ তৈরি হচ্ছে। ভয়ের পরিবেশও তৈরি হয়েছে। জানি না সরকার কবে জাগবে? অ্যাডিনো-আতঙ্কের মধ্যে রাজ্যে শিশু মৃত্যু নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)