Purba Medinipur: অঞ্চল সভাপতি নির্বাচন ঘিরে গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগ তৃণমূলে, উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম
TMC Inner Clash: কে হবেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি? তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ঠিক করতে বৈঠকে নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকে তুলকালাম। শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগে উত্তাল এলাকা
বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: কে হবেন তৃণমূলের (tmc) অঞ্চল সভাপতি (area president)? তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ঠিক করতে বৈঠকে নন্দীগ্রাম (nandigram) ২ নম্বর ব্লকে তুলকালাম। শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর (innerclash) মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগে উত্তাল এলাকা।
যা ঘটেছিল...
নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকে কে সভাপতি হবেন তা স্থির করতেই বৈঠক ডাকে তৃণমূল। সেখানে যখন সভাপতির নাম প্রস্তাবিত হয়, তখনই অশান্তি শুরু। চরম বিশৃঙ্খলার ছবি ধরা পড়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। এমনকি হাতাহাতিও হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে যে অঞ্চল সভাপতির নির্বাচন শেষমেশ করা যায়নি। আপাতত যা খবর, তাতে নন্দীগ্রাম তৃণমূল নেতৃত্ব পরে সর্বস্তরের কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে এই প্রক্রিয়া শেষ করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের মুখে দলে অঞ্চল সভাপতি নির্বাচন ঘিরে যে ছবি উঠে এসেছে, ,তার পর উত্তেজনার পারদ স্বাভাবিক ভাবেই চড়েছে। এদিকে তমলুকে সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এদিন।
তমলুকের ঘটনা...
তমলুকে সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে পুলিশের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বচসা। অভিযোগ, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে বিজেপির ক্যাম্প রয়েছে। এ নিয়ে পুলিশে অভিযোগও করা হয়েছিল বলে দাবি ঘাসফুল শিবিরে। তার পরও কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। অশান্তি বাড়লে পরে ক্যাম্প অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয় পুলিশের তরফে। উল্লেখ্য, হালেই শাসককে রুখতে হাতে-হাত মিলিয়ে লড়াইয়ে নেমেছিল দুই বিরোধী পক্ষ। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে বহরমপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে জিতেছিল বাম-বিজেপি জোট। ৬৩টি আসনের মধ্যে সবকটিতেই জয়ী বাম-বিজেপি জোট। নন্দকুমারের বহরমপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে তৃণমূলকে রুখতে সমবায় বাঁচাও মঞ্চ গড়ে ৬৩টি আসনে প্রার্থী দেয় বাম ও বিজেপি। জিতে নিয়েছিল সব কটি আসনও। সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন হলেও আগামী বছর পঞ্চায়েত ভোটের আগে এভাবে তৃণমূলকে রুখতে বাম-বিজেপির 'জোট' বাঁধা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে যায়। ৪৬টি আসনে তৃণমূল প্রার্থী দিলেও পরে ৩৫ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। ফলে আগেই ৫২টি আসনে বিনা প্রতিন্দ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় বাম-বিজেপি জোট। পরে বাকি ১১টি আসনে নির্বাচন হয়। তৃণমূলকে রুখতেই এই জোট, দাবি বাম-বিজেপির। বামেরা যে বিজেপির সঙ্গেই আছে তা আরও একবার প্রমাণ হল, খোঁচা দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন:রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যে, অখিলের বিরুদ্ধে দিল্লির থানায় অভিযোগ দায়ের লকেটের