South 24 Parganas:বাসন্তীতে প্রকাশ্যে তৃণমূলের 'গোষ্ঠীবিবাদ', উপপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দলীয় কর্মীদের
TMC Inner Clash: পঞ্চায়েত ভোটের আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীবিবাদ। ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পথে নামলেন দলীয় কর্মীরা।

শান্তনু নস্কর, বাসন্তী: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (south 24 Parganas) বাসন্তীতে ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীবিবাদ (TMC Inner Clash)। ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগ তুলে পথে নামলেন দলীয় কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, উপপ্রধান শঙ্কর সর্দার একাধিক দুর্নীতিতে জড়িত। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপপ্রধান।
কী ঘটেছে?
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে, দলীয় উপপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সহ দলেরই একাংশ।পানিখালি বাজারের কাছে হাতে প্ল্যাকার্ড, দলীয় পতাকা নিয়ে উপপ্রধানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান শঙ্কর সর্দার অন্যের ঘরের ছবি দেখিয়ে আবাস যোজনার টাকা তুলেছেন। ১০০ দিনের কাজের জন্য কাটমানিও নিয়েছেন তিনি। এমনকী, গ্রামে নলকূপ খারাপ হয়ে পড়ে থাকলেও নিজের বাড়িতে নলকূপ বসিয়েছেন উপপ্রধান। তৃণমূলের ফুলমালঞ্চের অঞ্চল সভানেত্রী কৃষ্ণা জানা বলেন, 'আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি করেছেন উপপ্রধান।' পঞ্চায়েত সদস্য ও তৃণমূল নেতা আফতাব আলি মোল্লারও অভিযোগ, নিজের বাড়িতে নলকূপ বসিয়েছে উপপ্রধান। যদিও কোনও অভিযোগই মানেননি অভিযুক্ত শঙ্কর সর্দার। তাঁর পাল্টা দাবি, 'এরা কেউ তৃণমূল নয়। আইএসএফ, বিজেপির লোক। আর সবটাই ভিত্তিহীন অভিযোগ।'
তুঙ্গে তরজা...
এই ঘটনা সামনে আসতেই কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সর্দারের মতে, সারা রাজ্যে এক ছবি দেখা যাচ্ছে। ভাগ নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যদিও অভিযোগ মানতে চাননি বাসন্তীর তৃণমূল বিধায়ক শ্য়ামল মণ্ডল। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বিরোধীদের কি বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেবে? এখন সেটাই দেখার। প্রসঙ্গত, রাজ্যের নানা প্রান্তে এই ধরনের ঘটনা একেবারে নতুন। গত ডিসেম্বরে যেমন তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্য়ানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছিলেন তাঁরই দলের কাউন্সিলররা। কাউন্সিলরদের অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন পুর চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত। স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব নিয়ে পুরসভা পরিচালনা করা হচ্ছে। এনিয়ে দলীয় নেতৃত্বকে বারবার জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। এবার, চেয়ারম্য়ানের অপসারণের দাবি তুলে ক্ষোভ উগরে দেন কালনা পুরসভার ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর। বিক্ষুব্ধদের অন্যতম তথা কালনা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুনীল চৌধুরী বলেন, 'প্রায় ৯ মাস-১০ মাস কালনা পুরসভার কোনও উন্নতি হচ্ছে না। চেয়ারম্য়ান সহযোগিতা করছেন না। আমরা কেউ দলের বিরুদ্ধে না। আমরা চেয়ারম্য়ানের বিরুদ্ধে। সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। দলকে আগেও জানিয়েছি। কোনও ব্য়বস্থা নেয়নি। ইমিডিয়েট ওকে সরানো হোক, নাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।'
আরও পড়ুন:মোদির মুখে 'তেজস' স্তুতি! শুরু এশিয়ার বৃহত্তম এয়ারোস্পেস শো 'এয়ারো ইন্ডিয়া ২০২৩'






















