TMC Leader Arrest: সরকারি জমি দখলের অভিযোগ, নকশালবাড়িতে গ্রেফতার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ
Naxalbari News: সরকারি জমি দখলের অভিযোগে নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা আসরফ আনসারিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। যদিও তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি ধৃতের।
সনৎ ঝা,নকশালবাড়ি: সরকারি জমি দখলের অভিযোগে সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার হলেন নকশালবাড়ি (Naxalbari) পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা আসরফ আনসারি (TMC Leader Arrest)। বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে নকশালবাড়ি থানার পুলিশ। নকশালবাড়ির ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও তাঁকে ফাঁসানো হয়ে বলে দাবি ধৃত তৃণমূল নেতার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের সভাঘর থেকে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকায় জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এরপরই গত ১২ জুলাই নকশালবাড়ির সেবদেল্লা মৌজায় সরকারি জমি দখলের বিষয়ে নকশালবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক। এই ঘটনায় তদন্তে নেমে প্রথমে ১৯ জুলাই শিলিগুড়ি থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর সোমবার গ্রেফতার করা হয় নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আসরফ আনসারিকে। এর ফলে এই মামলায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল তিন।
যদিও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে ধৃত তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আসরফ আনসারি বলেন,"আমাকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি নাকি জমির দালাল। আসলে আমি মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ করেছি বলেই আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক অসুবিধায় পড়ে আমাকে গ্রেফতার করিয়েছে। আমাকে পুরোপুরি ফাঁসানো হয়েছে।"
এই বিষয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, "একই কথা বারবার বলার যে দক্ষতা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রয়েছে তা অনস্বীকার্য। ছোট ছোট কাককে গ্রেফতার করে দাঁড়কাককে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। আমি ২০২৬ সালে এই মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলের সমস্ত কাক ও দাঁড়কাকের বিসর্জন দেখতে চাই। ছোট নয় বড় মাথাদের কবে গ্রেফতার করা হবে।"
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "তৃণমূলের আমলে সব জায়গায় লুঠের রাজত্ব চলছে।"
অন্যদিকে বিরোধীদের আক্রমণের জবাব দিতে গিয়ে তৃণমূলের সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "সিপিএমের কথার কোনও উত্তর দেব না কারণ ওরা রাজ্যে প্রাসঙ্কিক নয়। আর বিজেপিকে বলব প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া কথা বললে ইডি-সিবিআই ঢুকে যা বিরোধী নেতাদের ঘরে। যদি বিজেপির নিজেদের কথা রাখত তাহলে শুভেন্দু অধিকারী আজ জেলে থাকত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দলের লোকদেরও যে রেয়াত করেন না এই ঘটনা তারই প্রমাণ।"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।