Anubrata Mandal: ‘যুদ্ধক্ষেত্রে জেনারেল আহত হলে পরের জনকে এগিয়ে আসতে হয়’, কেষ্ট-বন্দনা রবীন্দ্রনাথের
Cattle Smuggling Case: আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে জামিনের আর্জি খারিজ হওয়ার পর এই মুহূর্তে জেল হেফাজতেই রয়েছেন অনুব্রত।
মঙ্গলকোট: গরুপাচার মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। কিন্তু তাঁর দাপট যে এখনও অব্যাহত, ফের তার প্রমাণ মিলল। তবে বীরভূম নয় (Birbhum), পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মঙ্গলকোটে। সদ্য লেখানে সংগঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় (Rabindranath Chatterjee)। আদালত চত্বর থেকে হাসপাতাল, অনুব্রতকে ঘিরে চারিদিকে যখন 'চোর', 'চোর' রব উঠছে, সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য 'কেষ্ট'কে সেনাবাহিনীর 'জেনারেল'-এর সঙ্গে তুলনা করলেন রবীন্দ্রনাথ (Army General)।
অনুব্রতকে যুদ্ধক্ষেত্রের জেনারেলের সঙ্গে তুলনা রবীন্দ্রনাথের
আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে জামিনের আর্জি খারিজ হওয়ার পর এই মুহূর্তে জেল হেফাজতেই রয়েছেন অনুব্রত। বীরভূমের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের তিন বিধানসভা কেন্দ্রেও তৃণমূলের (TMC) সংগঠনের দায়িত্ব সামলাতেন তিনি। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর সেখানকার তিন বিধানসভা কেন্দ্র, কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট এবং আউশগ্রামের দায়িত্ব পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথের হাতে তুলে দেয় দল। তবে অনুব্রতর দায়িত্ব হাতে পেলেও, তাঁকে এগিয়েই রাখলেন রবীন্দ্রনাথ।
আরও পড়ুন: Post Poll Violence Case: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই-জালে ৩, বীরভূম জুড়ে তল্লাশির পর গ্রেফতারি
অনুব্রতর দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে শনিবার সংবাদমাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ বলেন, "যুদ্ধক্ষেত্রে অনেক সময় জেনারেল যখন আহত হন, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরে যেতে হয় তাঁকে। তখন তাঁর পিছনে থেকে নেতৃত্ব দেন যিনি, তাঁকে এগিয়ে এসে দায়িত্ব নিতে হয়। অস্বীকার করার উপায় নেই য়ে, অনুব্রত মণ্ডল সংগঠনকে শক্তিশালী করেছেন। কিন্তু দল যাতে আরও শক্তিশালী হয়, কারও অনুপস্থিতিতে যাতে অসুবিধায় না পড়ে, তার জন্যই দল আমাকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দিয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল যে শক্তিশালী সংগঠন করে দিয়েছেন, আশাকরি সকলকে নিয়ে তাকে আরও শক্তিশালী এবং মজবুত করতে পারব।"
রবীন্দ্রনাথকে তীব্র কটাক্ষ বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার
তবে রবীন্দ্রনাথের মুখে এমন অনুব্রত-স্তুতি শুনে তাঁকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তাঁর কথায়, "জানেন, অনুব্রত-ভজন না গাইলে ওখানে কিছু করতে পারবেন না। উনি জানেন, পদটি পেয়েওছেন অনুব্রতর আশীর্বাদে। আমি মনে করি, তৃণমূলে এখন কারও হিম্মত নেই অনুব্রতর সুপারিশ পাল্টে কিছু করার। কারণ করলেই অনুব্রত মুখ খুলবেন। তাই দিদিও ভয়ে বলছেন, 'আমার বাড়িতে সিবিআই এলে, আপনারা নামবেন তো!' এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আর কী হতে পারে! তাই রবীন্দ্রনাথবাবুর এমন অনুব্রত-ভজনে একটুও অবাক হচ্ছি না। অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর দু'দিন মুখবন্ধ রেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয় দিনে পাশে দাঁড়ালেন। গোটা দলটা একজোট হয়ে গরু চুরি করেছে। রোজগার এবং দুর্নীতির রাজনীতি করছে ওরা। "