Sovandeb Chattopadhyay: আদানিকে আক্রমণ করলে আঁচ তো লাগবেই, মহুয়ার পাশে শোভনদেব
Mahua Moitra: টাকার বিনিময়ে মহুয়া সংসদে আদানিদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বলে অভিযোগ বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের।

উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও কৃষ্ণেন্দু অধিকারী: ফিরহাদ হাকিম, কুণাল ঘোষের পর এবার শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay)। টাকার বিনিময়ে আদানিদের নিয়ে প্রশ্ন তোলা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইস্যুতে মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের আর এক মন্ত্রী। নিজের অবস্থানে অনড় থেকে সুর চড়ালেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদও। একই সঙ্গে দল পাশেই আছে বলে দাবি করেছেন মহুয়া। যদিও সেই নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।
টাকার বিনিময়ে মহুয়া সংসদে আদানিদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বলে অভিযোগ বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের। সেই নিয়ে সংঘাত লাগাতার বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবারও বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করেছেন মহুয়া। তিনি বলেন, "আমার মাথার একটি চুলও ছুঁতে পারবে না ওরা। রাখে কেষ্ট মারে কে...।" ২ নভেম্বর সংসদের নীতি কমিটিরও মুখোমুখি হবেন বলে জানিয়েছেন।
এই প্রেক্ষাপটে তৃণমূলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া না হলেও, মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি কিছু না বললেও, দলের নেতা-মন্ত্রীরা একে একে মহুয়ার পাশে দাঁড়াতে শুরু করেছেন। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন শোভনদেব। তাঁর বক্তব্য, "ভাল সাংসদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত নাম মহুয়া। আদানিকে আক্রমণ করলে গায়ে আঁচ তো লাগবেই। আদানিকে আক্রমণ করার অর্থ মোদিকে আক্রমণ করা। ওর ক্ষমতা আছে। বেরিয়ে আসতে পারবে।"
আরও পড়ুন: Mahua Moitra: আদানিদের নিয়ে প্রশ্ন আটকানোই কি লক্ষ্য, সাংসদপদ কি খারিজ হবে তাঁর? মুখ খুললেন মহুয়া
তৃণমূলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ নিয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হল না কেন জানতে চাইলে শোভনদেব বলেন, "মহুয়া নিজেই বলেছে, ও একা লড়ে নেবে। কে কী বলবে, নিজের মতো করে বসে। আর শুধু অভিযোগ করলে তো হয় না, সেটা প্রমাণও করতে হবে।" এর আগে ফিরহাদের গলাতেও একি সুর শোনা গিয়েছিল। বলেছিলেন, "তৃণমূলের মুখপাত্র নি আমি, তাই দলের অবস্থান কী জানি না। তবে আমার নিজের বক্তব্য হল, যেহেতু মহুয়া এমন সব প্রশ্ন করে , যেটা মোদি সরকারকে বিপাকে ফেলে, তাই মহুয়াটে টাইট দেওয়ার একটা পরিকল্পনা হয়েছে।"
এদিন এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহুয়াও জানান যে, দল ২০০ শতাংশ তাঁর পাশে রয়েছে। আগামী ২ নভেম্বর সংসদের নীতি কমিটির সামনে হাজিরা দেওয়ার কথা মহুয়ার। শীতকালীন অধিবেশন থেকে তাঁকে দূরে রাখতেই এই মিথ্যআ অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁর সাংসদপদ খারিজ হলে বিজেপি-র সুবিধা হবে বলেও দাবি করেন।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
