Madan Mitra : 'আজকের পর থেকে ক্রাইম হলে তার দায়িত্ব...', বেলঘরিয়ায় শিক্ষক নিগ্রহের প্রতিবাদ-মিছিলে মদনের 'গ্যারান্টি'
Belgharia Teacher Assault: বেলঘরিয়ার নেতাজিপল্লিতে প্রকাশ্য়ে মদ্যপানের প্রতিবাদ করে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হয়েছে আঁকার শিক্ষক নিরুপম পালকে।

সমীরণ পাল, বেলঘরিয়া : এলাকায় শান্তি বজায় রাখা লক্ষ্য। এবার বেলঘরিয়া নন্দন নগরে শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামল শাসকদল। এদিন বেলঘরিয়া নন্দন নগরে মিছিল করেন বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন, গ্যারান্টি দিতে এসেছি আজকের পর থেকে বেলঘরিয়া নন্দন নগরে কোনো ক্রাইম হলে তার দায়িত্ব তৃণমূলের। বিধায়ক ফান্ড থেকে গোটা নন্দন নগরে সিসি টিভি লাগানোর কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি এলাকার মানুষকে পরামর্শ দেন, এলাকায় সন্দেহজনক কাউকে দেখলে পুলিশে খবর দিন। পুলিশকে রাতে টহলদারি বাড়ানোর কথা বলেন মদন।
বেলঘরিয়ার নেতাজিপল্লিতে প্রকাশ্য়ে মদ্যপানের প্রতিবাদ করে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হয়েছে আঁকার শিক্ষক নিরুপম পালকে। এই প্রেক্ষাপটে প্রবল আতঙ্কে রয়েছেন বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, প্রকাশ্যে মদ খাওয়ার মতো অসামাজিক কাজকর্ম এলাকায় নতুন নয়। তবে ভয়ে মুখ খুলতে পারেন না অনেকেই। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তাপও চরমে উঠেছে।
তীব্র আতঙ্ক ! ভয়ে দিশেহারা। পরিস্থিতি এমনই যে, মুখ খুললেই নাকি বিপদ ! স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, "রাস্তাঘাটে আসার সুবাদে দেখি, সন্ধের পর থেকেই এই যে বিশাল একটা বাজে (পরিস্থিতি) তৈরি হয়, এগুলো প্রতিবাদ করতে যাওয়া মানে, শনিবার যে ঘটনাটা ঘটল, এই জিনিসই ঘটবে।"
শনিবার সকালে বেলঘরিয়ার নেতাজিপল্লিতে প্রকাশ্য়ে মদ্যপানের প্রতিবাদ করে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হয়েছে আঁকার শিক্ষক নিরুপম পালকে। ঘুষি, লাথি, দেওয়ালে ঠেকিয়ে পিছমোড়া করে, চুলের মুঠি ধরে মার...বাদ যায়নি কিছুই। আক্রান্ত শিক্ষক বলেন, "আমি তাদের বললাম যে, এখন তোমরা কেন ড্রিঙ্ক করছো ? ওই কথা বলাতেই, ওরা আমার দিকে তেড়ে আসে এবং আমাকে মারধর শুরু করে। মুখে মেরেছে। বুকে মেরেছে। চোখে মেরেছে।" স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, প্রকাশ্যে মদ খাওয়ার মতো অসামাজিক কাজকর্ম এলাকায় নতুন নয়। তবে ভয়ে মুখ খুলতে পারেন না অনেকেই। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "অসুবিধা তো আছে দাদা আমাদের। আমাদের রাস্তাঘাটে চলতে খুবই অসুবিধা হয় এখন। ভয় লাগে। কী করব, সমাজবিরোধীদের যেভাবে আড্ডা হয়েছে এলাকায়।" গোটা ঘটনায় বেলঘরিয়ার বাসিন্দা বাপি সাহা রবিবার যা দাবি করেছেন তা আরও মারাত্মক। তাঁর দাবি, শিক্ষক প্রতিবাদ করার পরও সবকিছু ঠিক ছিল। তিনি এলাকা ছাড়তেই শিক্ষককে একা পেয়ে শুরু হয় বেধড়ক মারধর।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণী-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত তরুণী জেরায় দাবি করেছেন, ওই শিক্ষকই প্রথমে তাঁকে দেখে কটূক্তি করেন।
গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তাপও চরমে উঠেছে। ঘটনার প্রতিবাদে এলাকায় মিছিল করেছে বিজেপি।





















