Sougata Roy : খোদ তৃণমূল সাংসদেরই ভরসা নেই পুলিশের ওপর ! সৌগত রায়ের মন্তব্যে বিতর্ক
শুধু পুলিশের (Police) উপর নির্ভর করে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে কার্যত প্রশ্ন তোলেন সৌগত রায় (Sougata Roy)।

সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : খোদ তৃণমূল (TMC) সাংসদেরই ভরসা নেই পুলিশের ওপর। বরানগরের অনুষ্ঠানে সৌগত রায়ের বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। শুধু পুলিশের (Police) উপর নির্ভর করে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে কার্যত প্রশ্ন তোলেন সৌগত রায় (Sougata Roy)।
ভাইরাল ভিডিওতে দমদমের সাংসদকে বলতে শোনা যায়, 'শুধু পুলিশের উপর নির্ভর করে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। তাই রক্ষীবাহিনীকে শুভেচ্ছা জানতে চাই।' যা নিয়ে সৌগত রায় ও রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা শানিয়েছে বিরোধীরা। সিপিএম নেতা তণ্ময় ভট্টাচার্য বলেছেন, 'মাননীয় সাংসদ কী অস্বীকার করতে পারবেন, পুলিশকে যদি কাজ করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়, যদি রাজনৈতিক রং না দেখে পুলিশকে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়, যদি প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা নেয়, তাহলে পুলিশ কিন্তু অনেকটাই করতে পারে।'
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই বারবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব রাজনীতিবিদরা। বিরোধীদের যেমন অভিযোগ, রাজ্যের প্রশাসন পুলিশকে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করতে ব্যবহার করছে, তেমন খোদ শাসক দলের নেতাদের ক্ষোভ থেকেও বাদ যাননি পুলিশকর্মীরা। পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) অশান্তি নিয়ে পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে বিস্ফোরক মন্তব্য় করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। শাসক বিধায়কের এই মন্তব্য়কে অবশ্য় আইওয়াশ বলেই মনে করছিলেন বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য়, একথা বলে আসলে পুলিশকেই বলির পাঁঠা করতে চাইছে তৃণমূল।
তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেছিলেন, 'ভোটের আগে এবং পরে যে ঘটনা ঘটল, তাতে পুলিশ যদি সক্রিয় থাকত, যদি সতর্ক থাকতো, তাহলে অনেক কিছু, এই মৃত্যু, ঘটনা এড়ানো যেত।' যে প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'পুলিশ কি বলির পাঁঠা। পুলিশের ঘাড়ে বন্দুক রেখে লাভ নেই। পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সরাসরি তাঁর বিরুদ্ধেই বলুন। না কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধেই বলতে চাইছেন। এ তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।' সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছিলেন, 'পুলিশের ঘাড়ে বন্দুক রেখে তৃণমূল চালাচ্ছেন। কদিন তো তৃণমূল পুলিশের বন্দুক নিজের ঘাড়ে নিয়ে চালাচ্ছিল। পুলিশকে বুঝতে হবে, আইপিএস অফিসারকে বুঝতে হবে, আইএএস অফিসারকে বুঝতে হবে। ফেঁসে গেলে কেউ কারও নয়।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন






















