(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Adeno Virus: বি সি রায় হাসপাতালে আরও ২ শিশুর মৃত্যু
BC Roy Hospital: অ্যাডিনো-আতঙ্কের মধ্যেই বি সি রায় হাসপাতালে আরও দুই শিশুর মৃত্যু হল।
কলকাতা: অ্যাডিনো-আতঙ্কের (Adeno Phobia) মধ্যেই বি সি রায় হাসপাতালে (BC Roy Hospital) আরও দুই শিশুর মৃত্যু হল। বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই নিয়ে ২ মাসে রাজ্যে মৃত্যু হল ১৫২ জন শিশুর।
গতকাল রাতে রাজারহাটের ১ বছর ২ মাসের ও ইছাপুরের আড়াই মাসের শিশুর মৃত্যু হয় বি সি রায় হাসপাতালে। সর্দি-কাশি-জ্বর নিয়ে দুই শিশুই আইসিইউ-তে (ICU) ভর্তি ছিল। হাসপাতালে ভর্তি করেও শেষ রক্ষা হল না। প্রসঙ্গত, রাজ্যে ক্রমশ ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস (Adenovirus)। বিসি রায় শিশু হাসপাতালে মৃত্যু হল আরও ২ শিশুর। সোমবার বিসি রায় হাসপাতালে উত্তর ২৪ পরগনার কদম্বগাছির দেড়বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়।তাকে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিসি রায় শিশু হাসপাতালেই হাড়োয়ার বাসিন্দা ২ বছর ২ মাসের আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়। তাকেও জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দুজনেরই ডেথ সার্টিফিকেটে অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেসে মৃত্যু বলে উল্লেখ করা রয়েছে।
বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই নিয়ে ২ মাসে রাজ্যে মৃত্যু হল ১৫২ জন শিশুর। অ্যাডিনো আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে ফের ভর্তি হওয়ার প্রবণ তা উদ্বেগের আছে। চিকিৎসকদের মতে, দ্বিতীয়বার যে শিশুরা ভর্তি হচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে শারীরিক অবস্থা নিয়ে আরও বেশি চিন্তা বাড়ছে। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতর ও IMA-এর রাজ্য শাখার তরফে এদিন ভার্চুয়ালি বৈঠক হয়। চলতি বছরে ১৫ মার্চ পর্যন্ত অ্যাডিনো উপসর্গ নিয়ে কত জন শিশু বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে ভর্তি হয়েছে, তার তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন।
স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'জানুয়ারি ১ থেকে ১৫ মার্চ কত শিশু বয়স্ক অ্যাডিনো নিয়ে ভর্তি হয়েছে। কত মৃত্যু হয়েছে। তার তথ্য ৭দিনের মধ্যে দিতে হবে। ' সূত্রের খবর, অ্য়াডিনো ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসায় পরীক্ষামূলক ওষুধ প্রয়োগ করা যায় কিনা, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন, টুকলিতে বাধা দেওয়ায় কলেজ ভাঙচুর পরীক্ষার্থীদের, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র্যাফ
ছোটোদের পাশাপাশি বড়রাও অ্য়াডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে, করোনা পরিস্থিতির মত, ফের হাসপাতালে হাসপাতালে সিভিয়র অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস ক্লিনিক চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টাস্কফোর্সের তরফে জানানো হয়েছে, গ্রামে আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখবেন, কেউ অসুস্থ রয়েছে কিনা। নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল পরিদর্শনে যাবেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা।