Viswa Bharati : নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পড়ুয়াদের দফায় দফায় সংঘর্ষ, প্রায় ১২ ঘণ্টা পর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ঘেরাও-মুক্ত
হাতাহাতিতে পড়ুয়া এবং নিরাপত্তাক্ষী উভয়পক্ষেরই কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে, ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকেন রেজিস্ট্রার। অবশেষে বোলপুরের এসডিপিও-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে ঢোকে।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ও আবির ইসলাম, বীরভূম : বুধবার গভীর রাতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল বিশ্বভারতীতে (Viswa Bharati University)। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের (Security Guards) সঙ্গে পড়ুয়াদের (Students) দফায় দফায় সংঘর্ষ। শাবল-গাঁইতি দিয়ে তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকল নিরাপত্তারক্ষীরা। সবশেষে বোলপুরের এসডিপিও-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে প্রায় ১২ ঘণ্টা পর উপাচার্য (VC) বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ঘেরাও-মুক্ত করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ধুন্ধুমার
উপাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভ, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে হাতাহাতি, এমনকী, গুলি চালানোর নির্দেশের অভিযোগ ঘিরে বুধবার ধুন্ধুমার বেধেছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে! যার আঁচ বজায় ছিল গভীর রাত অবধি। অবশেষে প্রায় ১২ ঘণ্টা পর ঘেরাওমুক্ত হন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
গভীর রাতে শাবল-গাঁইতি দিয়ে গেটের তালা ভেঙে উপাচার্যর অফিসের ভিতরে ঢোকেন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীরা। তারপর পুলিশ এসে, রাত তিনটে নাগাদ নিয়ে যায় উপাচার্যকে। যদিও তারপরও আন্দোলনের আঁচ কমেনি! উপাচার্যের বাংলোর সামনে অস্থায়ীভাবে মঞ্চ তৈরি করে শুরু হয় বিক্ষোভ! কিন্তু, সেই মঞ্চে বসতে বাধা দেয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়ে মঞ্চ খুলে দেয়।
পড়ুয়াদের একাধিক অভিযোগ
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নেই। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। পিএইচডি পড়ুয়াদের সমস্যায় ফেলা হচ্ছে। এমন নানা অভিযোগ তুলে, বুধবার বিকেল ৪টে থেকে, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তীকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। পড়ুয়াদের অভিযোগ, ঘেরাও চলাকালীন, ছাত্রদের উদ্দেশে, গুলি চালানোর জন্য নিরাপত্তারক্ষীকে নির্দেশ দেন উপাচার্য। এক পড়ুয়ার অভিযোগ, 'ওঁর যে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী, তাঁকে বলছেন গুলি চালাও। পিস্তল বার করে গুলি চালানোর নির্দেশ দিচ্ছেন।' পাল্টা পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তোলেন উপাচার্যও। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, 'আমাকে যদি মারধর করা হয়, মারবে না? আমার আঙুল মুচকে দিয়েছে।'
পুলিশ ডাকা হয়
হাতাহাতিতে পড়ুয়া এবং নিরাপত্তাক্ষী উভয়পক্ষেরই কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে, ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকেন রেজিস্ট্রার। অবশেষে বোলপুরের এসডিপিও-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে ঢোকে। দু’পক্ষকে সরিয়ে এসকর্ট করে উপাচার্যকে বের আনা হয়। আর এদিন সকালে উপাচার্যের বাংলোর সামনে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেও, আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। যদিও আন্দোলন চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন পড়ুয়ারা।