Mamata Banerjee: ‘ফিরছে ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ববাদ’, মোদি সরকারের খসড়া আইন পড়ে হতবাক মমতা
Bharatiya Nyaya Sanhita: বুধবার বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতা: পায়ে চোট লাগায় এই মুহূর্তে ঘরবন্দি হয়ে রয়েছেন তিনি। কালীঘাটের বাড়ি থেকেই আপাতত প্রশাসনিক কাজকর্ম সারছেন। সেই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত সংশোধনী আইন পড়ে কার্যতই চমকে উঠলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কেন্দ্রের খসড়া আইন পড়ে তিনি হতবাক বলে জানালেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। (Bharatiya Nyaya Sanhita)
বুধবার বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, 'ভারতীয় দণ্ডবিধি, নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম যে খসড়া তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, তা পড়ছিলাম। তাতে নীরবে যেভাবে নাগরিক-স্বার্থ বিরোধী কঠোর বিধি ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, তাতে হতবাক আমি'।
মমতা আরও লেখেন, 'আগে ছিল দেশদ্রোহ আইন, তার বিধান প্রত্যাহারের নামে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা নামক যে ব্যবস্থা চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা আরও কঠোর এবং স্বেচ্ছাচারী। এতে নাগরিকদের উপর আরও গুরুতর প্রভাব পড়বে'। সেখানেই থামেননি মুখ্যমন্ত্রী। সকলকে ওই মোদি সরকারের প্রস্তাবিত সংশোধনী আইনের খসড়াও পড়ে দেখতে আহ্বান জানান।
Have been reading the drafts prepared by the Union Home Ministry to substitute the Indian Penal Code, Code of Criminal Procedure and Indian Evidence Act. Stunned to find that there is a serious attempt to quietly introduce very harsh and draconian anti-citizen provisions in these…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 11, 2023
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: পায়ে চোট লাগায় ঘরবন্দি, কাল থেকে ভার্চুয়ালি পুজো উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিন মুখ্য়মন্ত্রী আরও লেখেন, 'বর্তমান আইনগুলিকে অবশ্যই ঔপনিবেশিক শাসনের প্রভাবমুক্ত করা প্রয়োজন, কিন্তু শুধুমাত্র গঠনগত ভাবে নয়, প্রকৃত অর্থে প্রভাবমুক্ত করা প্রয়োজন। দেশেক আইনবিদ এবং সমাজকর্মীদের অনুরোধ করছি, বিচারব্যবস্থায় গণতান্ত্রকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই গুরুত্ব দিয়ে পড়ে দেখুন প্রস্তাবিত সংশোধনী আইনের খসড়া। সংসদে যখন আলোচনা হবে, আমার সতীর্থরা স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে বিষয়টি উত্থাপন করবেন। অভিজ্ঞতার আলোকে আইনগুলির উন্নতি প্রয়োজন, কিন্তু ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ববাদকে পিছনের দরজা দিয়ে দিল্লির অলিন্দে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া উচিত নয়'।
মোদি সরকারের প্রস্তাবিত আইন নিয়েই গোড়া থেকেই আপত্তি তুলে আসছে বিরোধীরা। তৃণমূলের তরফে এ নিয়ে চিঠিও দেওয়া হয় সংসদের স্ট্যান্টিং কমিটিকে। প্রস্তাবিত তিনটি আইনই ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার পরিপন্থী বলে সমস্বরে দাবি তোলে I.N.D.I.A শিবির।