Mamata Banerjee: পায়ে চোট লাগায় ঘরবন্দি, কাল থেকে ভার্চুয়ালি পুজো উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী
Durga Puja 2023: কাল বিকেল ৪টেয় কালীঘাটের বাড়ি থেকে, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পুজো উদ্বোধন করবেন।
কলকাতা: মহালয়ার আগেই পুজো উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী Mamata Banerjee (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় )। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে পুজো উদ্বোধন শুরু করবেন। বিকেল ৪টেয় কালীঘাটের বাড়ি থেকে, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পুজো উদ্বোধন করবেন। আপাতত শ্রীভূমি, হাতিবাগান, টালা প্রত্যয়, আহিরীটোলা সহ কাল কলকাতার ৬টি পুজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা ছাড়াও ২২টি জেলায় হাজারের বেশি পুজো উদ্বোধন করবেন। পায়ে আঘাত লাগার কারণে মুখ্যমন্ত্রীকে বাড়িতে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। (Durga Puja 2023)
বরাবরই মহালয়া থেকে পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেলে সশরীরে হাজির হন। এমনকি দেবী প্রতিমার চোখও আঁকেন নিজেই। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জেরে এবার সেই রীতি থেকে বিরত থাকলেন তিনি। বরং এবার বাড়ি থেকেই শহর কলকাতা এবং জেলার পুজোগুলির উদ্বোধন করবেন তিনি।
পায়ে চোট লাগায় এই মুহূর্তে ঘরবন্দি মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে বাড়িতে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। যতটা সম্ভব হাঁটাচলা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এর ফলে প্যান্ডেলে গিয়ে পুজো উদ্বোধন আর করা সম্ভব হচ্ছে না মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে। তাই বাড়ি থেকেই, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পুজো উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার কালীঘাটের বাড়িতে মন্ত্রিসভার বৈঠকও করবেন।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: আবারও খারিজ জামিনের আর্জি, এবার জেলে গিয়ে পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় CBI
দুর্গাপুজোয় আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। তার আগে শনিবার মহালয়া। সেই কথা মাথায় রেখে বৃহস্পতিবার থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে পুজো উদ্বোধন শুরুি করবেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী কাল কলকাতার ছটি বড় পুজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী, সেই তালিকায় রয়েছে শ্রীভূমি স্পোর্টিং, হাতিবাগান সর্বজনীন, টালা প্রত্যয়, আহিরীটোলা সর্বজনীন, এন্টালি মাতৃভূমি। এ নিয়ে যদিও মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এ বছর দুর্গাপুজোর অনুদানও অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্লাবগুলিকে ৭০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি। গোড়ার দিকে পুজো কমিটিগুলিকে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হতো। করোনার সময় তা বাড়িয়ে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা করা হয়। পরে আরও বেড়ে হয় ৬০ হাজার। এবছর আরও ১০ হাজার টাকা বাড়িয়ে, ৭০ হাজার টাকা অনুদানের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেই নিয়েও তীব্র টানাপোড়েন শুরু হয়। বিষয়টি গিয়ে পৌঁছয় আদালতেও। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিও অনুদান বাড়ানোর সিদ্ধান্তে প্রশ্ন তোলেন।