WB Covid Restriction: ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত ‘দুয়ারে সরকার’
WB Covid Guidelines: করোনা মোকাবিলায় কাল থেকেই রাজ্যে জারি কড়া বিধিনিষেধ। বন্ধ সব স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে সন্ধে সাতটা পর্যন্ত চলবে লোকাল ট্রেন, নবান্নে জানালেন মুখ্যসচিব।
কলকাতা: রাজ্যে বাড়ছে করোনা, ওমিক্রন সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে সতর্ক রাজ্য সরকার। কাল থেকেই জারি কড়া বিধিনিষেধ। আজ থেকে চালু হওয়ার কথা ছিল ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প। তবে মুখ্যসচিব জানালেন, ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হল ‘দুয়ারে সরকার’।
আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব আরও জানিয়েছেন, ‘ব্রিটেন থেকে কলকাতায় আসা বিমানে কাল থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। অন্য দেশগুলি থেকে আসা বিমানযাত্রীদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বাধ্যতামূলক। ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হল দুয়ারে সরকার। কাল থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কাল থেকে বন্ধ। সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ হাজিরা। বেসরকারি অফিসেও ৫০ শতাংশ হাজিরা। সুইমিং পুল, স্পা, জিম, বিউটিপার্লার, সেলুন কাল থেকে বন্ধ। চিড়িয়াখানা সহ সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। শপিং মলে ৫০ শতাংশ প্রবেশ। খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। রেস্তোরাঁ, পানশালাও ৫০ শতাংশ গ্রাহক নিয়ে খোলা থাকবে। অনুষ্ঠান হলে ৫০ শতাংশ উপস্থিতি। বিয়ের অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ ৫০ জনের উপস্থিতি। মৃতদেহ নিয়ে যেতে পারে সর্বোচ্চ ২০ জন। সন্ধে ৭টার পর সব লোকাল ট্রেন বন্ধ। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে লোকাল। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে পুরো সময় চলবে মেট্রো। ৫-এর বেশি করোনা আক্রান্ত হলে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন। কলকাতায় ১১টি জায়গা চিহ্নিত।’
মুখ্যসচিব আরও জানিয়েছেন, ‘রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কড়া বিধিনিষেধ। মুম্বই ও দিল্লি থেকে সপ্তাহে দু’টির বেশি উড়ান নয়। কোনও অঞ্চলে পাঁচজনের বেশি করোনা আক্রান্ত হলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলটিকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। ইতিমধ্যেই কলকাতায় ১১টি জায়গা মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কড়া বিধিনিষেধ জারি থাকবে।’
২২ জানুয়ারি রাজ্যের চারটি কর্পোরেশনে ভোট। ইতিমধ্যেই ভোটের নির্ঘণ্ট জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন দল প্রচারও শুরু করে দিয়েছে। তাতে কি রাজ্য সরকার কোনওরকম বিধিনিষেধ জারি করবে? এ বিষয়ে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, ‘পুরভোটে কোভিড বিধি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।’
’