Vaccine Status in West Bengal : করোনা-শঙ্কায় সতর্কবার্তার বহর, রাজ্যে কী অবস্থা ভ্যাকসিনের ?
Corona Scare : বাগবাজারের সেন্ট্রাল ভ্যাকসিন স্টোর থেকে সারা রাজ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ হয়। কোভ্যাক্সিনের প্রায় ৪৬ হাজার ডোজ মজুত রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২২ হাজার ডোজ ভ্যাকসিনের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে।
ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : চিনে দাবানলের মতো ছড়াচ্ছে করোনা (Corona)। এই অবস্থায়, উদ্বেগে রয়েছে ভারত। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, বুস্টার ডোজ নিতে। কত ভ্যাকসিন মজুন রয়েছে, কত পরিমাণ রয়েছে, বাগবাজারের সেন্ট্রাল ভ্যাকসিন স্টোরে গিয়ে যা পাওয়া গেল তা শুনে চিন্তা খানিক বাড়তে পারে।
চিনে করোনার বাড়বাড়ন্ত। ভারতজুড়েও জারি হয়েছে সতর্কতা। বিমানবন্দরে (Airport) চলছে নজরদারি। হাসপাতালগুলিকে (Hospital) প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। জোর দিতে বলা হয়েছে বুস্টার ডোজে (Booster Dose)। কিন্তু, এই পরিস্থিতিতেও অনেক জায়গাতেই উঠছে, ভ্যাকসিন না পাওয়ার অভিযোগ।
ভ্যাকসিনের ভাঁড়ার কী বলছে !
বাগবাজারের সেন্ট্রাল ভ্যাকসিন স্টোর থেকে সারা রাজ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়। সেখানে কোভ্যাক্সিনের প্রায় ৪৬ হাজার ডোজ মজুত রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২২ হাজার ডোজ ভ্যাকসিনের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। আর আগামী দুমাসের মধ্যে উত্তীর্ণ হবে আরও কিছু ভ্য়াকসিনের মেয়াদ।বাগবাজারের সেন্ট্রাল ভ্যাকসিন স্টোরে নেই কোনও কোভিশিল্ড এবং কোরবেভ্যাক্স।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনের পরিস্থিতি ভারতের থেকে আলাদা। তবে তাঁদের পরামর্শ, সতর্কতায় একটুও ঢিলে দেওয়া উচিত নয়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ভ্য়াকসিন সেন্টারগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু ভ্য়াকসিন মজুত রয়েছে।
আরও পড়ুন- সারাদিনে একজন লোকও আসছে না, মাত্র ২০ শতাংশ লোক বুস্টার ডোজ নিয়েছেন : ফিরহাদ হাকিম
প্রসঙ্গত, করোনার করোনার সাম্প্রতিকতম সাব ভ্যারিয়েন্ট BF.7-এর প্রকোপেই এখন চিনে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতো সবে শুরু! ভয়ঙ্কর খারাপ দিন আসতে চলেছে! সূত্রের খবর, সম্প্রতি চিনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ অধ্যাপকের মৃত্যু হয়েছে। চিনে ফের ভয়ঙ্কর গতিতে করোনা ছড়াতে শুরু করায় উদ্বেগপ্রকাশ করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। ভারতেও ইতিমধ্য়েই ভয়ঙ্কর সাব ভ্যারিয়েন্ট BF.7-এর হদিশ মিলেছে। দেশে এখনও অবধি চার জনের এর দেখা মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে সাবধান করছেন চিকিৎসকরা। বিষেশজ্ঞরা বলছেন,
- করোনার নতুন এই সাব ভ্য়ারিয়েন্ট অত্য়ন্ত সংক্রামক।
- তাতে আক্রান্ত একজন অত্য়ন্ত দ্রুত ১০ থেকে ১৮ জনকে সংক্রমিত করতে পারে।
- কোনওভাবেই নতুন এই ভ্যারিয়েন্টকে হালকাভাবে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা।
- বিলম্ব না করে ফের জনবহুল অবস্থায় প্রত্য়েকের মাস্ক পরা উচিত।