Bird Flu: শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা মেটেনি বার্ড ফ্লু আক্রান্ত শিশুর, দাবি পরিবারের
Malda News: গত মঙ্গলবারই একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে World Health Organization বা WHO জানিয়েছে, ২০১৯ সালের পর এই প্রথম ভারতে মানুষের শরীরে বার্ড ফ্লু ভাইরাস ধরা পড়ল।
করুণাময় সিংহ, মালদা: মালদায় বার্ড ফ্লু (Bird Flu) আক্রান্ত শিশুর বাড়িতে গেলেন স্বাস্থ্য় দফতরের আধিকারিকরা। কথা বললেন পরিবারের সঙ্গে। ঘুরে দেখলেন স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্য়কেন্দ্রও। কিন্তু, এত দেরিতে কেন? প্রশ্ন তুলেছে শিশুর পরিবার।
আক্রান্ত শিশুর বাড়িতে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা: করোনার ভয়ঙ্কর স্মৃতি এখনও দগদগে। এরইমধ্য়ে ফিরল বার্ড ফ্লু উদ্বেগ। ৫ বছর পর, ভারতে মানুষের শরীরে মিলল ভাইরাসের স্ট্রেন। বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছে এই রাজ্য়ের মালদার বাসিন্দা ৪ বছরের এক শিশু। গত মঙ্গলবারই একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে World Health Organization বা WHO জানিয়েছে, ২০১৯ সালের পর এই প্রথম ভারতে মানুষের শরীরে বার্ড ফ্লু ভাইরাস ধরা পড়ল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ২২ মে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে এই তথ্য় দেওয়া হয়। এর প্রায় এক মাস পর, ১৪ জুন অর্থাৎ শুক্রবার বার্ড ফ্লু আক্রান্ত শিশুর বাড়িতে পৌঁছলেন স্বাস্থ্য় দফতরের আধিকারিকরা। কথা বলেন পরিবারের সঙ্গে। ঘুরে দেখেন স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্য়কেন্দ্র। আক্রান্ত শিশুর বাবা বলেন, "এর আগে কোনও চিকিৎসক আসেনি। কেউ আসেনি। কোনও সাহায্য়ই এখনও পর্যন্ত করেনি।''
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্য়, ২২ মে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে দেওয়া তথ্য় অনুযায়ী, পুনের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজিতে নমুনা পরীক্ষা করে জনা যায় শিশুটি বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত। আক্রান্ত শিশুর পরিবারের বক্তব্য়, কয়েকমাস আগেই অসুস্থ হয়ে পড়ে ৪ বছরের শিশুটি। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্য়া দেখা দেয়। মালদা মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিল প্রায় ১ মাস। কিন্তু, সমস্য়ার সমাধান না হওয়ায়, NRS মেডিক্য়াল কলেজে রেফার করা হয়। সেখানেও প্রায় ২ মাস চিকিৎসাধীন ছিল শিশুটি। ফুসফুসে সংক্রমণ ছিল। বর্তমানে শিশুকে বাড়িতেই রাখা হয়েছে। কিন্তু, পরিবারের বক্তব্য়, এখনও তার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্য়া মেটেনি। বেশিরভাগ সময়ই রাখতে হচ্ছে অক্সিজেন সাপোর্টে।
মালদার মুখ্য় স্বাস্থ্য় আধিকারিক জানিয়েছেন, শিশুর শরীরে তিন-চার রকমের ভাইরাসের সংক্রমণ হয়। বাচ্চাটি এখন সুস্থ আছে। চিন্তার কিছু নেই। চিকিৎসার প্রয়োজন হলে হাসপাতালে নিয়ে আসতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় বার্ড flu-র ভাইরাস H9N2-তে মূলত আক্রান্ত হয় শিশুরা। তবে তাতে অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় নেই বললেই চলে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, শিশুর সংস্পর্শে আসা কোনও ব্যক্তির মধ্যে সংক্রমণ ছড়ায়নি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।